
দেওয়ানগঞ্জের বাঘারচরে বিজিবি ১৭৫ বস্তা ধনিয়া জব্দ করছে । বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে । জব্দকৃত ধনীয়ার মালিক ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের দাবি ট্রাকে ১৯৫ বস্তা ধনিয়া লোড করা ছিলো । বাকি ২০ বস্তা গেলো কোথায় ? বিজিবি সদস্যরা গোপন রেখেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ।
জব্দকৃত পণ্যের সাথে আটক হয়েছে ট্রাক ড্রাইভার জিয়া উদ্দিন লাভলু ও হেলপার আলামিন । জব্দকৃত ধনিয়ার বস্তাগুলো দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয় গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় । জব্দকৃত পণ্য ছাড়াতে থানায় হাজির হয়েছেন ধনিয়ার মালিক রেজাইল করিম । তিনি চর রাজিবপুর উপজেলার ধুবালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা ।
তার ভাষ্য, সে মেসার্স আবু সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক । দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে ধনিয়ার ব্যবসা করে আসছেন । কুদাল কাটি, চিলমারি, রৌমারি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধনিয়া ক্রয় করে সরবাহ করেন। এমকি কৃষকেরা গোডাউনে এসেও ধনিয়া বিক্রি করে যায় । সরবরাহ করা দেশীয় ধনিয়া গুলো ফরিদপুরের কিস্টপুর হাট এলাকার ব্যবসায়ী হিরো চন্দ্র সাহার কাছে বিক্রি করা হয়েছে । পরিমান ২০০ বস্তা, প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে ধনিয়া । যার মূল্য ১৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শ টাকা । বস্তাগুলো ট্রাকে লোড দেওয়ার পর উচ্চতা বেশি হওয়াই ড্রাইভারের অনুরোধে ৫ বস্তা কম দিয়েছি । ১৯৫ বস্তার চালান কপিও ড্রাইভারকে দেওয়া হয়। কিন্তু জব্দ হওয়ার পর শুনছি ১৭৫ বস্তা । নিশ্চিত ভাবে বলেন বাকি ২০ বস্তা বিজিবি ক্যাম্পেই আছে । বাকি বস্তা গুলো উদ্ধার করতে মামলা করবেন বলেও জানান ।
জব্দের বিষয়ে বাঘারচর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ফরমান আলী বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ধনিয়া গুলো ইন্ডিয়ান । সেমতে জব্দ করা হয়েছে । এবং ১৭৫ বস্তা ধনিয়া পাওয়া গিয়েছে । চোরাচালান আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে । হাবিলদার রেজাইল রহিম বলেন এই এলাকায় ধনিয়া চাষ হয়না । পরিবহনকৃত ধনিয়াগুলো ইন্ডিয়ান বস্তা ব্যবহার করেছে । সেই সূত্র ধরেই জব্দ করা হয়েছে ।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত নাজমুল হাসান বলেন, বিজিবি ফরমান বাদী হয়ে একটি মামলা দিয়েছেন । সেখানে ১৭৫ বস্তা উল্লেখ্য রয়েছে এবং ১৭৫ বস্তা থানায় জব্দ আছে ।