
ঈশ্বরদীর দিয়াড়বাঘইলে খুলনা- সৈয়দপুর রেলওয়ে লাইনের পিন খুলে চুরি করার সময় হাতেনাতে সজিবুল নামে এক চোরকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী ও রেলওয়ের কর্মচারীরা।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল সায়েনউদ্দিনের মোড় সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের ওপর থেকে তাকে ধরা হয়।এসময় ধৃত চোরের কাছ থেকে রেলের পিন খোলার সরঞ্জাম, চাইনিজ কুড়াল, খোলা পিন উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ও রেলকর: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় দুপুর বেলা জনশূন্য রেল লাইনে ধৃত চোর সজিবুল সহ তার আরও দুই সহযোগী লাইনের পিন খোলার সময় শব্দ শুনে রেললাইনের পাশের এলাকার জনৈক কলম হোসেন এর ছেলে কনক সহ তার বন্ধুরা রেললাইনে উঠলে সজিবুলসহ আরও ২ চোরকে পিন খুলতে দেখে তারা চিৎকার দিয়ে লোক ডাকাডাকি করলে স্হানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। লোকজন দেখে লোহাচোররা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।এসময় লোকজন তাদের ধাওয়া করে সজিবুলকে ধরতে পারলেও অন্য দুজন পালিয়ে যায়।
এদিকে চোর ধরার সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে আসে রেল লাইনের কর্মচারীরা ও পাকশী ফাঁড়ির পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থল রেলওয়ে থানার আওতাধীন হওয়ায় ধৃত চোর সজিবুলকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, খুলনা-রাজশাহী, খুলনা-সৈয়দপুর, রাজশাহী -টুঙ্গিপাড়া ও খুলনা ঢাকার রুটের ঈশ্বরদী ও পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের মাঝে ইস্তা সাঁকো থেকে পাকশী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কারণে সমতল ভূমি থেকে রেললাইনের উচ্চতা প্রায় ৮০ থেকে ১০০ফুট।
আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো এলাইনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিঃমিঃ গতিতে চলাচল করে। এই লাইনে পিন ও ফিস প্লেট চুরি হলে ট্রেন চলাচল হয়ে পড়বে অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন। ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দূর্ঘটনা। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি ও কামনা করছে