
স্থানীয় বাজারের তুলনায় কেজিতে কিংবা পণ্যভেদে শাকসবজিসহ নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যের দাম এখানে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা কম। তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে খানিকটা কম দামে পণ্য পেতে এ বাজারে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো জায়গা না রেখে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য তুলে দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলা কলেজ গেট এলাকায়।
‘আক্কেলপুর ছাত্র – কৃষক কণার কমিটি’র উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যের এ বাজারের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষার্থীরা।
আয়োজকদের ভাষ্য, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তারা এই বাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চান। সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পযন্ত।
আজ সকালে জনতার বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে , ডিম, বেগুন, লাউ, , কাঁচামরিচ, কপি সহ বিভিন্ন ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিকেজি , বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ৪০, কাঁচামরিচ ১১০,কপি ৪০ টাকা পিচ, ও প্রতি হালি ডিম ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সীমা আক্তার নামে বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম জীবনটাকে কঠিন করে ফেলেছে। তাই শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই।
ক্রেতা নাইম বলেন,এখানে ন্যায্যমূল্যে ডিম,শাক সবজি বিক্রির হচ্ছে দেখলাম। সেখানে বাজারে যে দাম সে তুলনায় এখানে প্রতিটা জিনিসের দাম পাঁচ থেকে ১৫ টাকা কম। যারা এই কাজ করছে তাদের মন থেকে দোয়া করি।
আক্কেলপুর উপজেলা “ছাত্র-কৃষক কর্ণার” স্বল্পমূল্যে জনসাধারণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও সবজি বিক্রয় করা হচ্ছে। সরাসরি কৃষকের থেকে পণ্য আনছি আমরা। মাঝে কোনো সিন্ডিকেট থাকছে না। এতে এখন পর্যন্ত বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
এ আয়োজনের একজন আয়োজক আশিক হোসাইন জানালেন, সপ্তাহের প্রতিটি দিন বাজারের কার্যক্রম চলবে। ভবিষ্যতে মাছ, মাংসসহ আরও পণ্য বাড়বে এখানে।
এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আক্কেলপুরের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন,বাজারে যে সিন্ডিকেট চলছে তা রোধে আমাদের ছাত্রসামজের এ “ছাত্র-কৃষক কর্ণার, অব্যাহত থাকবে।
স্পেশাল টাস্কফোর্স জয়পুরহাটের সহযোগীতায় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যবস্থাপনায় আগামীতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।