
আসন্ন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দিনাজপুরের খানসামায় জমে উঠেছে ভোটের প্রচারণা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। প্রার্থীদের পক্ষে চলছে ব্যাপক মাইকিং। একই সময়ে প্রার্থীদের একাধিক মাইকিংয়ে সরগরম হয়ে উঠছে গোটা জনপদ।
অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচার। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুনরা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ।
নিজেদের পছন্দের প্রার্থী পক্ষে রয়েছেন সরব। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। কে হবে ১৭৯.৭২ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬ টি ইউনিয়ন এবং ৫৭টি গ্রামের অভিভাবক? এমন আলোচনায় এখন পুরো উপজেলার রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক পরিবেশ এখন অনেকটা সরগরম।
৫৭ টি ভোটকেন্দ্রের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫ শত ১৯ টি ভোটারের খানসামা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ‘চেয়ারম্যান’ পদে আওয়ামী লীগের দুই ও ছাত্রলীগের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করলেও প্রচার-প্রচারণা ও জনসমর্থনে ‘চেয়ারম্যান’ পদের লড়াইয়ে আঞ্চলিকতার দিক দিয়ে ‘আনারস’ প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ্ অনেক এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে অনেক ব্যবধানে বিজয়ী হবেন তিনিঁ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আনারস প্রতীকের গণসংযোগ ও প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আনারস প্রতীকের পক্ষে বিপুল জনসমর্থন লক্ষ্য করা গেছে। পুরো এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচারণায় বহুগুণ এগিয়ে রয়েছেন তিনিঁ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে সহিদুজ্জামান শাহ্ হচ্ছেন একজন হেভিয়েআমিট প্রার্থী। তারঁ রয়েছে একটি নিজস্ব ভোট ব্যাংক। তাছাড়া ‘ব্যক্তি ইমেজ, আঞ্চলিকতা, সামাজিক প্রভাব’র বিষয়গুলোও নির্বাচনী মাঠে ভোট যুদ্ধের ফ্যাক্টর হবে বলে জানান অনেকেই। তবে সকল প্রার্থীই নিজের জয়ের ব্যাপারে রয়েছেন শতভাগ আশাবাদী।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহিদুজ্জামান শাহ্ বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন দক্ষ জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক। তারঁ সম্মান ও আদর্শ নিয়েই আমি মানুষ ও এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করব।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী বলেন, আগামী ২৯ মে ব্যালট পেপারে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। আচরণ বিধি সম্পর্কে প্রার্থীদের অবহিত করা আছে। কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।