
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা হাটে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির দায়ে মাংস ব্যবসায়ী চুন্নু সর্দার ও তার সহযোগী তাকিউর শেখ কে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো: জহুরুল ইসলাম,ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং মাংস মাটিতে পুঁতে রাখার নির্দেশ দেন,
মঙ্গলবার ৪ মে এড়েন্দা হাঁটে মাংস ব্যবসায়ী চুন্নু সর্দার অসুস্থ গরু জবাই করে এনে বিক্রি করছিলেন, তখন স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে চুন্নু সর্দার ও তাকিউর শেখ এর সাথে কথা হলে তারা অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির কথা অস্বীকার করেন,,পরবর্তীতে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:জহুরুল ইসলাম ঘটনা স্থানে গিয়ে মাংস ব্যবসায়ী চুন্নু সর্দারের কাছে অসুস্থ গরু জবাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পদ্মবিলা গ্রামের আসাদ হাজীর নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে গরুটি জবাই করা হয়েছে বলে জানান।
তারপর ঘটনাস্থানে আসাদ হাজী কে ডাকা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান,, এসময় ঘটনাস্থান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গরুর বিভিন্ন অংশ থেকে মাংস সংগ্রহ করে ভ্যাটোনারীতে পরীক্ষা- নীরীক্ষার জন্য প্রেরন করেন।
মাংস ব্যবসায়ীর মিথ্যা জবানবন্দির কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মাংস সহ তাদের দুজনকে পুলিশ হেফাজতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আনা হয়।
এসময় মাংস ব্যবসায়ী চুন্নু সর্দার বলেন আমার পিছনে মানুষ লেগেছে সকাল বেলা গরু জবাই করে বাজারে আনার পরে বাবুল দারোগা ৫ হাজার টাকা চাই আমার কাছে টাকা না দিতে চাইলে তিনি সাংবাদিক ডাকবেন বলে জানান। এবং তার পিছনে অন্য কসাইরা লেগেছে,
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার এসআই বাবুল কাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন চুন্নু আমার নামে মিথ্যা কথা বলেছে আমি এড়েন্দা হাটে যাই নাই,
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায়, ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) মো: জহুরুল ইসলাম তাদের ২ জন কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং জব্দকৃত পচা মাংস মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং মাংস মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।