
বুধবার (৫ জুন) কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। ভোটকে কেন্দ্রের উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ভোট প্রদানে ব্যস্ত ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এই প্রথম ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কামারখন্দ উপজেলার ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করেছেন ।
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন ঘোড়া প্রতীকে এস.এম শহিদুল্লাহ সবুজ, আনারস প্রতীকে আব্দুল মতিন চৌধুরী, দোয়াত কলম প্রতীকে সেলিম রেজা, মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. আবু ইউসুফ আলী, কাপ পিরিচ রেজাউল করিম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চশমা প্রতীকে মো. সেলিম রেজা, টিউবওয়েল প্রতীকে মো. আনিছুর রহমান ভূইয়া, তালা প্রতীকে হাফিজুর রহমান , উড়োজাহাজ প্রতীকে শরিফুল ইসলাম মঞ্জু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাঁস প্রতীকে তাহমিনা ওয়াজেদ মেরীনা, প্রজাপতি প্রতীকে সম্পা রহমান, ফুটবল প্রতীকে উম্মে নূর পিয়ারা, কলসি প্রতীকে মোছা. সেফালী খাতুন।
বেসরকারি ফলাফলে ভিত্তিতে কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৭২৮৬ ভোটে (আনারস ) প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সেলিম রেজা (দোয়াত কলম) প্রতীকে পেয়েছেন ১০৮০১ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭১৪০ ভোটে (টিউবওয়েল ) প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান ভূইয়া বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সেলিম রেজা (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৯৫৪ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬০১৭ ভোটে (ফুটবল) প্রতীকের প্রার্থী উম্মে নূর পিয়ারা বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাহমিনা ওয়াজেদ (হাঁস) প্রতীকে পেয়েছেন ১৫১২৪ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলায় ৪টি ইউনিয়ন মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২১ হাজার ৭ শত ৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬১ হাজার ৯ শত ২০ জন এবং মহিলা ভোটার ৫৯ হাজার ৮ শত ৪১ জন।