
দিনাজপুর জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক কাজী কাদের নেওয়াজ তার লিখা “শিক্ষকের মর্যাদা” কবিতার শেষের দুটি লাইন ‘আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষা গুরুর শির-সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর’। এতে প্রমাণিত হয় যে, শিক্ষকরা শিক্ষকই। পিতা-মাতার পর একজন শিক্ষকই হলো শিক্ষার্থীর প্রকৃত অভিভাবক। সেই অভিভাবককে কতিপয় শিক্ষার্থী ভুল বুঝে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও গবেষক ড. মাসুদুল হক’কে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য স্বাক্ষর করে সরিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু কলেজের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হকের কার্যক্রমে সন্তোষ্ট ছিলো বলেই তারা তাৎক্ষনিকভাবে তার কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে তাকে কলেজে যোগ্য সম্মান দিয়ে স্বপদে পুর্ণ:বহাল করে তার চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছে। সংবাদটি সারা মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়াতে প্রমান হয়েছে, শিক্ষকের শির চির দিন উন্নত ছিলো-আছে-থাকবে। যদি ড. মাসুদুল হকের মতো প্রকৃত শিক্ষক ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা প্রধান করতে পারেন। ড. মাসুদুল হককে তার সম্মানজনক স্থানে ফিরিয়ে আনতে এবং শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন দিনাজপুরের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (বাদশা চৌধুরী), কবি লাল মিয়া, কবি অদিতি রায়, কবি জলিল আহম্মেদ, কবি নিরঞ্জন হীরা, কবি কাশী কুমার দাস, কবি ফাতেমা বেগম, কবি কমল কুজুর, কবি মোমিনুল ইসলাম, কবি তুষাল শুভ্র বসাক, গবেষক বিধান দত্ত, প্রদীপ ঘোষসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (বাদশা চৌধুরী) বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার আরোও একটি জয় হলো শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। ড. মাসুদুল হক দিনাজপুর বাসীর কাছে একজন প্রকৃত শিক্ষক হয়ে ইতিহাসের পাতায় বেঁচে থাকবেন।