
দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদীর ব্রীজ সংলগ্ন ডান-তীর ও বাম -তীর ঘেষে বালু ব্যবসায়ী ও বোলগেট মালিকরা পানিউন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর অধিগ্রহনকৃত) জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে রমরমা বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
এসব বালু বহ্মপুত্র নদীর চর কেঁটে বড় নৌকা ও বোলগেটের সাহায্যে নিয়ে আসে এবং তা স্তুপ করে রাখা হয় নিউ ব্রীজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর তীর ঘেষে পানিউন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর অধিগ্রহনকৃত) জায়গায়। প্রতিনিয়ত বালু বোঝাই মাহিন্দ্র ট্যাক্টর, কাকড়া, ট্রাক ও ট্রলির অবাধে চলাচল করায় শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্হানে দেখা দিয়েছে ফাটল।
পথচারীরা জানান , যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাস্ক পড়েও ধুলাবালি আটকানো যায় না। পাশ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বালুর স্তুপ থেকে বালু উড়ে এসে আমাদের নাক-মুখ দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে কাশি,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির হচ্ছে। আমারা এসবের থেকে প্রতিকার চাই। স্থানীয়দের অভিযোগ,দীর্ঘদিন থেকেই অবৈধভাবে এসব বালু বহ্মপুত্র নদী থেকে
উত্তোলন করে বোলগেট ও বড় নৌকাযোগে নিয়ে আসে ঘাঘট নদীতে। পরে তা নিউ ব্রীজ সংলগ্ন বাঁধের জায়গা দখল বালুর স্তুপ গড়ে তোলেন। নির্বিঘ্নে দিনরাত অতী দাপটের সাথে লক্ষ, লক্ষ টাকার লেনদেন করে আসছে বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট ও বোলগেট মালিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান ,কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার বালু মহাল থেকে এসব বালু না নিয়ে বহ্মপুত্র নদী থেকে চোরাইভাবে নকল রশিদ মূলে নিয়ে আসায় এবং সরকারের আদায়কৃত ঘাটে না নেয়ার কারণে সরকার দু’দিক থেকে রাজস্ব হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। ব্যবস্হা নিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।