
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা বিপাকে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন ক্ষুব্ধ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দাবদাহ ও সঙ্গে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা চরম বিপাকে পড়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেচ কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। টানা কয়েকদিনের রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। নন্দীগ্রাম শহরে দুই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও গ্রামাঞ্চলে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে কোনো কোনো এলাকায় আমন সেচ কাজ ব্যহত হচ্ছে। এ কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের অভিযোগ, দিনরাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করা একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে। ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নন্দীগ্রাম কলেজ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কিছু মুসুল্লি অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই তো সারাদিন ঠিক মতো কারেন্ট থাকে না আবার যখন মাগরিব নামাজের আজান হয় ঠিক সেই মুহূর্তে কারেন্ট চলে যায়, নামাজ ও শেষ হয়ে যায় বিদ্যুৎ ও চলে আসে প্রতিদিনই এমন ঘটনা কেন ঘটছে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা।
এছাড়াও প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ও লোডশেডিং এর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেলেও কতৃপক্ষ যেন নিরব। এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুতের যে পরিমানে চাহিদা রয়েছে সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ কম দেওয়ায় লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে।