
খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি তুলেছেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। গতকাল রবিবার (২৯সেপ্টেম্বর, ২০২৪খ্রি.) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে, খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী জুনান চাকমার মা রূপসা চাকমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, “আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই এবং এই ধরনের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
অনুরূপভাবে, সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত রুবেল ত্রিপুরার মা নিরন্তা ত্রিপুরা জানান, রুবেল নির্দোষ ছিল এবং কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। রুবেল তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন, এবং তার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তিনি।
এছাড়াও দীঘিনালায় নিহত ধনরঞ্জন চাকমার ছেলে বিনক চাকমা অভিযোগ করেন, তার বাবাকে সেনাবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে:
১. জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কমিটি গঠন। ২. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। ৩. আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। ৪. সেনাশাসন প্রত্যাহার এবং হামলায় জড়িত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিচার।
সবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। এছাড়াও, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।