
আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় উপশহর বি ব্লক ১৮৪ বাসায় রাতের আধারে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলা চালিয়ে বাড়ির গেটে মারা ৩টি তালা ভেঙ্গে ও আদালতে মামলা চলমান লেখা সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত বাড়ির উত্তরাধিকারী দাবি করে আদালতে দায়ের করা মামলার বাদি জামিল খান বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ তদন্তর দায়িত্ব দিয়েছে উপশহর পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত এক কর্মকর্তার কাছে।
অভিযোগে জামিল খান তিনি যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর বিসিক শিল্প নগরী এলাকার মৃত তাজামুল হক খানের ছেলে। পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে বসবাস করলেও তিনি উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের একজন চৌকিদার। তার উত্তরাধিকারী সূত্রে উপশহর বি ব্লক বাসা নং ১৮৪নং বাসাটির মালিক। উক্ত বাড়ি নিয়ে বিরামপুর লিচুতলার আবু হোসেনের ছেলে বিল্লাল এর সাথে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ১৬ অক্টোবর বুধবার রাত ৯ টার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাড়িটি অবৈধ ভাবে দখল করতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিল্লাল হোসেন, উপশহর সি ব্লকের খলিলুর রহমানের ছেলে সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বাড়ির সামনে থাকা সাইনবোর্ড তুলে ফেলে এবং ঘরে লাগানো ৩টি তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল লুট করে। বাদি যে কোন সময় তার উপর হামলার আশংকা প্রকাশ করছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের কারনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে ও আতংকে রয়েছে।
জামিল খান আরো জানান, উপশহর বি ব্লক বাসা নং ১৮৪টি তার প্রয়াত চাচা সুবেদার ইসরাইল খান। স্বাধীনতার পর পুলিশে চাকুরীরত ইসরাইণ খানকে হাউজিং কর্তৃপক্ষ বাড়িটি বরাদ্ধ দেয়ার পর রেজিষ্ট্রির অনুমতি দেয়। এরপর হাউজিং কর্তৃপক্ষ বাড়িটি অবৈধ ভাবে অন্যকে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার খবর পেয়ে জামিল খান আদালতে মামলা করেন। মামলা চলমান থাকা সত্বেও বিল্লাল হোসেনসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বাড়িটি কবজায় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার এক পর্যায় উত্তরাধিকারী সূত্রে বাড়ির মালিক জামিল খানকে ম্যানেজ করার জন্য নানা অপকৌশল নিয়ে ব্যর্থ হয়। ফলে বুধবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হামলা চালিয়ে তালা ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে তছনছ করে বলে জামিল জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।