
নরসিংদীর পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়ন দরিচর গ্রামের ঈদগাহর পাশে অপু নামের এক যুবককে জবাই করে (অটো রিক্সা ) মিশুক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সূএমতে,জানা যায়, অপু পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে একটি (অটো রিক্সা) মিশুক ভাড়া চালাইতো।
শুক্রবার অপু ( অটোরিকশা) মিশুক নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিনের মতো বের হন , সে বড়ই তলা বাসস্ট্যান্ড হতে একটি ভাড়া নিয়ে দরিচর উদ্দেশ্যে রওনা হয় , তার জন্ম ভূমি শিবপুর উপজেলা পুটিয়া কামারগাও গ্রাম এর নয়ন মিয়ার ছেলে অপু মিয়া(১৬) , তার দাদা ছিলেন পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চৌকিদার মরহুম নাসির উদ্দিন। অপু প্রতিদিনের মতো শুক্রবারে ও জীবিকা নির্বাহের জন্য (অটো রিক্সা) মিশুক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন , রাত্র গভীর হলেও অপু বাড়িতে ফিরে না আসার কারণে সারারাত্র হতাশায় রাত্রি পার করেন তার পরিবারের লোকজন। ০২-১১-২৪ইং নভেম্বর, শনিবার তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন লোকমুখে শুনতে পায় এক যুবককে জবাই করে হত্যার পর দরিচর ঈদগাহে ফেলে রেখেছে, একথা শুনতে পেরে অপুর পরিবারের লোকজন চলে যায় পলাশ থানায় গজারিয়া ইউনিয়ন এর দরিচর গ্রামের ঈদগাও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অপু নামের ছেলেটি কে জবাই করে হত্যা করে (অটো রিক্সা) মিশুক নিয়ে গেছে ।
একটি মিশুকের জন্য জীবন দিতে হলো অপু নামের ১৬ বছরের উঠতি বয়সের যুবক কে। অপুর গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় , অপু একজন ভালো ছেলে ছিল, দরিদ্র বলে সে জীবিকা নির্বাহের জন্য ( অটো রিক্সা) মিশুক ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাতেন। তার বাবা ও একজন রিক্সা চালক । অপু ফুটবল খেলার ভক্ত ছিল নিজেও সুযোগ পেলে ফুটবল খেলতো। এ ব্যাপারে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন আমরা এখনো অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ । পুটিয়া বাঁসি অপুর হত্যাকারীদের কে খুঁজে বের করে আইনগতভাবে, দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি করেন।