
নিবিড় পর্যবেক্ষণে
এই যে বয়স, ধূসর ছায়ায় ঢেকে গেছে সকাল,
তবুও গোধূলির রক্তিমাভা চিত্রিত স্মৃতি আঁকে।
ক্ষুদ্রতার নির্জনতা ছুঁয়ে আসে—
জীবনের শেষ অবকাশে নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি।
গভীর নির্জনতা, সেইখানেই চিরকালীন প্রতীক্ষা,
আলো-ছায়ার খেলায় আমরা সবাই বন্দী—
প্রতিশ্রুতির সুর বেজে ওঠে হাহাকারে,
এক অবিস্মরণীয় বৈকল্য জাগায় হৃদয়ের তন্ত্রে।
শব্দের মধ্যখানে লুকানো শ্বাস,
অগোচর চেতনার কোমল কল্পনায়—
চির অচেনা পথের মোড়ে মেঘদূত ডাক পাঠায়,
সময়ের চোখে জমে ওঠা শিশিরে বিকেল হেলে পড়ে।
আমাদের সকল শখের নির্জনতা কেবলই অপেক্ষা,
ধৈর্যের প্রদীপ নিভে আসে, জ্বলে ওঠে কেবল ঝড়ের আগমনে।
জীবনের পাঠ, এক নিষ্ক্রিয় গাঁথা
যেখানে প্রতিধ্বনি ফিরে আসে—বিষণ্ণ সঙ্গীত হয়ে।
আলোছায়ার ঘুমন্ত নিসর্গে,
বয়ে চলে একটি দীর্ঘশ্বাস—
নব রূপের সৃষ্টিতে রং বদলায় সময়,
আত্মপ্রত্যয়ের অবলম্বন খোঁজে নিঃসীম শূন্যতায়।
অচেনা আকাশে ঝড়ের আগে
ঝরে পড়ে মেঘের রূপালি ভাষা,
মৃত্তিকার শিকড়ে কাঁপন লাগে,
আমাদের হারানো সময়ের ফিসফিসে কথা।
সেইখানে, এইখানে, সমস্তখানে
প্রতীক্ষার মিশেল—শুধু আর
এক অনির্বচনীয় সময়ের মায়াজাল,
আর তারই মাঝে বয়ে যায় আমাদের জীবন।