
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ০১নং থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান (আতা)এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠায় দীর্ঘ ৩মাস থেকে বিভিন্ন স্তরে তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।আজ রবিবার ২৪/৩/২০২৪ইং সর্বশেষ তদন্তের দিন ছিল।এতদন্তের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন উলিপুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তারিফুর রহমান সরকার।
পত্র নং– ৩৩.০২. ৪৯৯৪.৫০১.৩৬.০৪০.১৫.৬৭ এবং দেয় চিঠি তাং ২১ শে ফাল্গুন ১৪৩০ , ইং (তাং–০৫ মার্চ ২০২৪)
সূত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উলিপুর কুড়িগ্রাম এর স্বারক নং -০৫.৪৭.৪৯৯৪.০০০.০৩.০১৩.২৩.৮৯২; তাং -২৬/১১/২০২৩মোতাবেক। মিটিং শুরু রবিবার ০১টার দিকে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান (আতা)সহ ১২জন মেম্বার পরিষদের হল রুমে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। আলোচনাটি প্রথমেই প্রানবন্ত হয়ে উঠে।বাদি পক্ষের মুল কেন্ত্রবিন্দু ছিলেন মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক কাশাই। অভিযোগের তীর ছিল বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান (আতা)এর বিরুদ্ধে। হাজারো অভিযোগে যুক্ত চেয়ারম্যান মিটিংক্ষন পার করলে ও কখনও ছিল উত্তাপ ,আবার কখনও ছিল মিটিংয়ের পরিবেশ শুনানিতে সীমাবদ্ধ। এলাকাবাসী থেতরাই ইউনিয়নের জানতে চাচ্ছে মেম্বার এবং চেয়ারম্যানের ঘটনাটি সমাধান হবে কী না ? তবে জনসাধারণ ঝামেলা থেকে বাঁচতে চায় বলে অনায়াসে অনেকে জানিয়েছেন।
থেতরাই ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছাঃ বিউটি খানম ব্যাতিরেকে বাকী ১১জন অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা বিধি অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান শ্রী অখিল চন্দ্র রায় বাহাদুরের পরিচালনায় চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান এবং মেম্বারগনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়।
বেলা ২ টার দিকে বিশেষ সচিব বজড়া ইউনিয়ন মোঃ সাদেকুল ইসলাম মন্ডল বক্তব্য রাখেন এবং থেতরাই ইউনিয়ন মেম্বারদের উদ্দেশ্যে একত্রিকরন প্রক্রিয়ার উপর বক্তব্যে জোর দেন।বজড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বজড়া সচিবকে নিয়ে আসেন। ডিপুটিশনে থেতরাই ইউনিয়নে ৬দিনের কর্মদিবস পালন করবে বলেও সচিব মহোদয় জানান।
পরে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন মেম্বারগন। ভোট প্রদান কার্যক্রম চলে ৩টা ৪০মিঃ পর্যন্ত। সুষ্ঠুভাবেই ভোট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।১১জন মেম্বার “অনাস্থা ভোটে “এর পক্ষে ভোট প্রদান করেন। ভোটের সময় চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না বলে তদন্ত সূত্রে জানা যায়।সচেতন সামাজের পক্ষ থেকে মোঃ সালাউদ্দিন নামের স্থানীয় অধিবাসী বলেন,আমরা হতভাগা আমাদের চেয়ারম্যান ভারসাম্যহীন,সব সময় মেম্বারদের সঙ্গে অসদাচরণকারী, বিবেকহীন, দূর্নীতিবাজ সর্বোপরি অযোগ্য এবং ধান্দাবাজ ১জন মুখোশধারী মানুষ। আমরা থেতরাই ইউনিয়নবাসী সবাই কপালপোড়া।আজ থেকে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের হাত থেকে বেঁচে গেলো পরে ১১জন মেম্বার অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে মোঃ আতাউর রহমান বিপক্ষে মত প্রকাশ করেন।শ্রী অখিল চন্দ্র রায় প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।হল রুমের সুধী জন, সাংবাদিক,পুলিশ প্রশাসন সহ অখিল চন্দ্র রায়কে সাধুবাদ জানায়। অখিল দাদা এখন থেতরাই ইউনিয়ন চালাবেন বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেন। ভোটের দৃশ্য দেখতে অসংখ্য মানুষ বাইরে অপেক্ষারত অবস্থায় দেখা যায়। ইউনিয়ন কীভাবে চলবে প্রশ্ন করতে ই প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন সকলেই মিলে মিশে আমরা পরিষদ চালাব ইনশাআল্লাহ। (“থেতরাই তদন্ত ২৪/৩/২০২৪ রবিবার বাং —চৈত্র–১৩ থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ ।।”
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান (আতা) এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সর্বশেষ তদন্ত।