মো: আজিজুর বিশ্বাস
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪ । ৮:০৮ অপরাহ্ণ
নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের মোল্লা শপিং কমপ্লেক্সের দুইটা মোবাইলের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানদার এড়েন্দা এলাকার হাদিউজ্জামান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত গভীর রাতে এই চুরি সংগঠিত হয়েছে।
লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার মোবাইল দোকানি হাদিউজ্জামান তার দোকানের নাম বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক ও তাফাজ্জেল তার দোকানের নাম তোয়া টেলিকম। সারাদিন দোকানে বেচাকেনা করে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে দোকানের সমস্ত মালামাল গুছিয়ে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে বাড়িতে চলে যায়।
পরদিন শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় দোকানে আসতে একটু দেরি হয়। এসে দেখি দেখে দোকানে অন্য তালা মারা। তখন নিজের কাছে সন্দেহ মনে হয়।
এ সময় বাজার কমিটির সদস্যদের ডেকে নিয়ে আসে এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ডাক দিয়ে তাদের সাথে নিয়ে তালা ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে।
দোকানে ঢুকে দেখে দোকানে থাকা তার প্রায় ১৪০ পিস অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও দোকানের অন্যান্য মাল সামানা এবং নগদ টাকা কিছুই নেই। অন্যদিকে পাশের দোকানি তাফাজ্জলের একই অবস্থা দেখতে পাই। তোয়া টেলিকমের তাফাজ্জেল বলেন, আমার দোকানেরও একই অবস্থা দেখে লোকজন ডেকে তাদের সামনে তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে দেখি দোকানে থাকা নগদ টাকা, এন্ড্রয়েড ফোন এবং অন্যান্য মালামাল কিছুই নেই।
এরপর বাজার কমিটির সভাপতি,ও সেক্রেটারি, সহ অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত সিকদার বলেন, বাজারে প্রতিদিনই পাহারাদার থাকে। গত রাতে ও ১৭ জন বাজারে পাহারা দিয়েছে। এর মধ্যে একজন পাহারাদার সভাপতি ইবাদত শিকদারের কাছে বলেন,গতরাতে আমরা পাহারা দিচ্ছিলাম এমন সময় একটি সাদা মাইক্রো এবং কয়েকজন লোক ব্যাগ নিয়ে মার্কেটের ভিতরে ঢুকেছে। আমরা মনে করেছি দোকানের মালিক। এজন্য তাদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করিনি।
বণিক সমিতির সভাপতি আরো বলেন,পাহারাদার তিনজনের কাছে এ সমস্ত কথা শোনার পর তাদের সন্দেহ জনক মনে হওয়ায় তাদেরকে লোহাগড়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, লোহাগড়া বাজার চুরি হওয়ার ঘটনাই একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজন নৈশ প্রহরীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।