
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খাগড়াছড়ির সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধি সমূহ অংশগ্রহণ করেন।
বিগত বছরের মতো এবারও তথ্য কমিশন কর্তৃক ঘোষিত স্লোগান ছিল, “কর্তৃপক্ষের সকল দ্বার, খুলে দেবে তথ্য অধিকার।” আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ। একইসাথে টিআইবি’র পক্ষ থেকে প্রতিপাদ্য ছিল “নতুন বাংলাদেশ: চাই বাক স্বাধীনতা, চাই তথ্যে অবাধ অভিগম্যতা।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহিদ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় টিআইবি-খাগড়াছড়ির কোর্ডিনেটর মোঃ আবদুর রহমান ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি জনগণের ক্ষমতায়ন, স্বচ্ছতা, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অবাধ প্রবাহের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভায় বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা; তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও যোগাযোগের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; তথ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল টুলসের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
সভায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার দিপক কুমার শীল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। টিআইবি-সনাকের ইন্টার্ন প্রোগ্রামার ললিতা বৈষ্ণব ত্রিপুরা এবং ইয়েস দলনেতা মোঃ মেহেদি হাসান সোহাগ লিখিত ধারণাপত্র পাঠ করে সার্বজনীন তথ্য অধিকার ও জন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন। লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। আরও তারা নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তথ্য কমিশনকে কার্যকর করার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতা আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।