
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রদের হাতে আটক হয়ে থানায় এসে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের করা মামলায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সাফিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি রোববার বিকালে উপজেলার ভানুরকান্দা গ্রামে ঘটেছে।
জানা যায়, ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বিরুদ্ধে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাহাদ হোসেন নামের এক ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে নিয়ে কটুক্তি করায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং ৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় সাফি ৩৯ নম্বর আসামী।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার ভানুরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী পদের নিজ কর্মস্থলে আসেন। এসময় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাকে নিহত আবু সাঈদকে কটুক্তি নিয়ে সেই সময়ে করা অভিযোগে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানায় এনে বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের করা মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বিএনপি নেতা জাকির হোসেন বলেন, তৎকালীন আওয়ামীলীগের শাসনামলে কালাঞ্জ গ্রামে আমার খালাতো ভাই আব্দুল হান্নানের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামীলীগ নেতারা। পরে ৪ আগষ্ট আমার বাড়িতেও হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনাগুলোতে আমি আদালতে মামলা করেছি।
স্থানীয় রাহাদ হোসেন নামের এক ছাত্র বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আব্দুল হাই সাফি চা স্টলে আমাদের শহীদ আবু সাঈদ কোন ছাত্র নয় এবং সে রাজাকার বলে তাকে আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কটুক্তি করেছে। এ ঘটনায় তার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সে ভানুরকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরীর পদে চাকুরী করে। রোববার সে স্কুলে আসলে আমরা তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেনের বলেন, ছাত্ররা তাকে ধরে রেখেছিল পরে আমরা নিয়ে এসেছি। রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।