
‘আর কি হবে এমন জনম বসবো সাধুর মেলে। হেলায় হেলায় দিন বয়ে যায় ঘিরে নিল কালে।’ ফকির ইদ্রিস সাঁই’র মতো অসংখ্য বাউল, সাধু, গুরু, বৈষ্ণবের আগমনে এখন মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়ি, লালনধাম বাউল সম্রাট ফকির লালন সাইঁ এর ১৩৪ তম তিরোধান দিবসে বক্তব্য কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব এর সভাপতি জনাব আল মামুন সাগর ছেউড়িয়া কুমার খালী কুষ্টিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব সৈয়দ মেহেদী রুমি সহ আরো অনেকেই।
অনুষ্ঠানের ৩ দিন ব্যাপী। দোতারা, একতারা- ঢোল-খোল, বাঁশি, আর প্রেমজুড়ির তালে মাতোয়ার ছিলেন বাউলরা। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের মৃত্যুর ১৩৪ বছর ধরে এভাবেই বাউল সাধকরা জড়ো হন বাউলতীর্থে। এবার ১৭ অক্টোবর সাঁইজির তিরোধান দিবস হওয়ায় কয়েকদিন কদিন আগে থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করেন আখড়া বাড়িতে। কোনো দাওয়াত নেই, পত্র নেই, তবুও এক উদাসি টানে মানুষ ছুটে এসেছেন দলে দলে, হাজারে হাজারে। যেখানে মিলন ঘটেছে নানা ধর্ম, নানা বর্ণের মানুষের। কেউ এসেছেন ধবধবে সাদা পোশাকে, আবার কেউ গেরুয়া বসনে। সাঁইজির টানে এ ধামে বাউল ছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেছে। ‘বাড়ির পাশে আরশী নগর, মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি মানুষ ভোজলে সোনার মানুষ হবি।