সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা করেন না তারা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ক্লাস্টারের দঃ সীচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠান না খোলার অভিযোগ উঠেছে। সকাল ৯ টায় প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও দেখা গেছে ভিন্নচিত্র।
রবিবার ২৭ অক্টোবর সকাল ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। পাকা রাস্তার পাশে বিদ্যালয়ের অবস্থান হওয়ায় সঠিক সময়ে আসা কোমলপ্রাণ শিশুদের নিয়ে শঙ্কায় পথচারীসহ অভিভাবকগণ এবং স্থানীয় জনতা। প্রতিদিন এ রাস্তায় বালুবাহী ট্রাক্টরের অবাধ চলাচল। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
রবিবার ১০ টার পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন শিক্ষিকা দ্রুত এসে প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দেয়। উপস্থিতি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি এদিক সেদিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষকদের মনগড়া নিয়মে প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। এভাবে দেড়িতে প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ।
অন্যদিকে একই ক্লাস্টারের ভাটি কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ১০ টার দিকে গেলে দেখা যায় শিক্ষকগণ অফিস কক্ষে খোশগল্পে মশগুল। নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও তারা করেননি। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন।
বিদ্যালয়ের পাশের অনেকেই বলেন, তারা শুধু বসেই থাকেন, পড়াশোনা কখন করান। তবে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার মান নিয়েও নানান প্রশ্ন তোলেন তারা।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহঃ শিক্ষা অফিসার মূকুল চন্দ্র বর্মন জানান, আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এসবের জন্য তাদেরকে জনপ্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হবে।
সচেতনমহল বলছেন, দেড়িতে প্রতিষ্ঠান খোলা আর ক্লাস বাদ দিয়ে খোশগল্প করা এমন কর্মকান্ডে কোমলপ্রাণ শিশুদের শিক্ষা হুমকির মুখে ফেলে দেয়। বিষয়টি ভাবনার!
তবে এসবের মাঝেও প্রতিষ্ঠানে বিগত দুটি অর্থবছরে সরকারি সকল বরাদ্দের কতটুকু সদ্ব্যবহার হলো সবকিছু তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের আহবান জানান তারা।
সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠান খোলা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম নিয়মানুযায়ী সচল রাখার দায়ভার কার? বিদ্যালয়ের বিগত অর্থবছরের বরাদ্দ এবং শিক্ষার মান নিয়ে থাকছে পরের রিপোর্টে..