বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করে না শিক্ষকরা

নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার ও সহকারী সুপার না থাকায় সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষকরা তাদের মনগড়াভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯৩৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। পুরাতন এ প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ৩২০ জন রয়েছে। ২২ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন কর্মরত রয়েছে। সুপার ও সহকারী সুপারসহ মোট ১০ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এতে সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন শিক্ষার মান পিছিয়ে যাচ্ছে । কর্মরত শিক্ষকরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে উপস্তিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীর উপস্তিতির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর ১টায় সরজমিনে মাদ্রাসাটিতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। অফিস রুমসহ সকল শ্রেণি কক্ষ থালা বদ্ধ রয়েছে। দাখিলের নির্বাচনি পরীক্ষা ২৯জন দিচ্ছে বলে জানা যায়। তবে এখানে কাউকে না পাওয়ায় নির্বাচনি পরীক্ষা হচ্ছে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় বাস্তা গ্রামের কয়েক জনের সাথে দেখা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুনামধন্য এ মাদ্রাসাটি শিক্ষককের অভাবে শিক্ষার মান দিন দিন হ্রাস পা”েছ। শিক্ষকরা নিয়মিত আসে না। তারা মনগড়া ভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির সুনামঅক্ষুন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত সুপার আহসান উল্লাহ তার মোবাইল ফোনে জানান, আমি ঢাকায় আছি। ২৯ জন শিক্ষার্থী দাখিল নির্বাচনি পরীক্ষা দি”েছ। ২টার আগে কোন মতেই মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার কথা নয়। আজকে মাদ্রাসায় নির্বাচনি কি পরীক্ষা ছিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্ভাবত বাংলা পরীক্ষা হতে পারে। সহকারী শিক্ষক নূরুল আলমের নিকট থেকে জানতে পারেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাদ্রাসা খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে দুপুর ১টার মধ্যে কাউকে কেন পাওয়া যায়নি বিষয়টি সুপারের নিকট জেনে ব্যবস্থা নেব।
মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও মাদ্রাসাটির সভাপতি রেজোয়ান ইফতেকার জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।