পাচার হওয়া ৩ কিশোরীকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর

ভাল কাজের প্রলোভনে দালালদের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হওয়া ৩ জন বাংলাদেশী কিশোরীকে দীর্ঘ এক বছর পর বেনাপোল দিয়ে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। কিশোরী এরা বিভিন্ন মেয়াদে (৬ মাস থেকে ১ বছর) কারাভোগ শেষে ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোলহয়েদেশেফিরেছে
আজ বুধবার ২২মে সন্ধ্যায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে এসব পাচার হওয়া কিশোরীদের হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কলকাতার বাংলাদেশ সহ বিজিবি, পুলিশ ও দুইদেশের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এই কিশোরী
বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যায়। পরে দু‘দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আজ তাদেরকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে অনেক এনজিও সংস্থাও কাজ করছে তাদের দেশে আনার ব্যাপারে।
ফেরত আসারা হলো,
১। জেসমিন আক্তার ,(৩৬ ) স্বামী:আবু জাফর মন্ডল জেলাঃ বগুড়া ।
২। লাইলী বেগম ( ২১) স্বামী:জামাল খান জেলা-ঝালকাঠি।
৩। রোকসানা ( ২৪) পিতাঃ শাহেদ আলী জেলাঃকিশোরগঞ্জ
উপরোক্ত ব্যক্তিদের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, দালালদের প্রলোভনে পড়ে এরা পাসপোর্টবাদে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। এরপর ভারতের পুলিশের কাছে তারা আটক হয়ে বিভিন্ন শেল্টার হোমে ছিলেন আদালতের মাধ্যেমে। আজ তাদের হস্তান্তর করেন ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। , রাইটস যশোর ৩ জনকে ও মহিলা আইনজীবি সমিতি গ্রহন করবে তাদের পরিবারের কাছে পৌছে দিতে।
এনজিও সংস্থা জাষ্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর মুহিত বলেন, এরা ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যে পাচার হয়ে বিভিন্ন ঝুকিপুর্ন পেশায় জড়িয়ে পড়ে। এর পর সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে ভারতের হাওড়া, ২৪ পরগণা জেলা, নদীয়া, কুচবিহার, কলকাতার শেল্টার হোমে থাকে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের চিঠি চালাচালির মাধ্যমে আজ তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোলে হয়ে দেশে ফিরেছেন। ফেরত আসাদের যশোর নিজ নিজ শেল্টারহোমে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।