জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ উল্লাহকে দায়িত্ব পালন বাঁধা, ও হুমকি দামকি ভয়ভীতি, লাঞ্চিত সহ বিভিন্ন অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে

ফরিদপুর জেলা রেজিস্ট্রার কতৃক ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন অতিরিক্ত দায়িত্ব নিকাহ রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ উল্লাহকে দায়িত্ব পালন বাঁধা, হুমকি, দামকি ভয়ভীতি, শারিরীক লাঞ্চিত সহ নানা অভিযোগ করে ভাঙ্গা প্রেসক্লাবে গত শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাহমুদুল্লাহ। সে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের মরহুম সামসুদ্দিন শেখ এর পুত্র এবং ৮ নং চুমুরদী ইউনিয়ন দায়িত্ব প্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, একজন নিরীহ সৎ নিকাহ রেজিস্ট্রারের আমার উপর ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার বর্ণনা সাংবাদিক ভাই সহ জাতির সামনে তুলে ধরলাম। অভিযুক্ত মোঃ নুরুজ্জামান (বিল্লাল), পিতা- আঃ ছাত্তার শিকদার, সাং- আরামবাগ, চরকান্দা, আলগী ইউপি- ভাঙ্গা, ফরিদপুর। (তাহার লাইসেন্স বাতিলকৃত নিকাহ রেজিস্ট্রার ৭নং আলগী ইউনিয়ন। সে একজন পর সম্পদ লোভী, ধোকাবাজ ও প্রতারক শ্রেণীর লোক। তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় উৎকোচ গ্রহণ করে কাবিন নামায় উল্লেখিত দেনমোহরের পরিমান বাড়িয়ে কমিয়ে দেয়। দূর্নীতি, প্রতারণা,
স্বেচ্ছাচারিতা এবং অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগ জেলা রেজিস্টার ফরিদপুরের স্মারক নং ৩২৬ তারিখ
২৭/০৬/২০১২ইং তদন্তে সত্য প্রমানিত হওয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ২৪/০১/২০১৩ইং তারিখের বিচার ৭/২ এন-১১/২০১১-৩৯ স্মারকে ভাঙ্গা উপজেলার ৭নং আলগী ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ নুরুজ্জামান
(ওরফে বিল্লাল কাজী) এর লাইসেন্স বাতিল পূর্বক (উক্ত এলাকা নিকাহ রেজিষ্টার শুন্য ঘোষনা করে) তার স্থলে জেলা পজিস্ট্রার ফরিদপুর তারিখ ১৩/০২/২০১৩ইং ১৭০ নং স্মারকে (মোহাম্মদ উল্লাহ নিকাহ রেজিস্ট্রার ৮নং চুমুরদী ইউনয়ন) আমাকে আলগী ইউনিয়নের নিকার রেজিস্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করেন। আমি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছিলাম। বিগত ২৬/০২/২০১৩ইং তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে জনাব
মোঃ নুরুজ্জামান (লাইসেন্স বাতিলকৃত নিকাহ রেজিস্ট্রার ৭নং আলগী ইউনিয়ন) উক্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেন্জ করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। যাহার রীট পিটিশন নং-২৫৫৩/২০১৩। উক্ত রীট
পিটিশন শুনানী অন্তে রুলইস্যু এবং ০৪ (চার) মাসের স্থগিত আদেশ প্রদান করেন, পরবর্তীতে সর্বশেষ
২৬/১১/২০২৩ইং খ্রিঃ তারিখে রীট পিটিশন ভ্যাকেট হওয়ায় বর্তমানে উক্ত রীট পিটিশনের কোন স্থগিত আদেশ বহাল না থাকায় এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে কোন বাঁধা-বিপত্তি না থাকায় জেলা রেজিস্ট্রার ফরিদপুর তারিখ ০৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ নং১০.০৫.২৯০০.১০১.১৯.০০২.২৪/১০৮ (১০) স্মারকে পূনরায় (উক্ত ৭নং আলগী
ইউনিয়নের নতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত) আমাকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আদেশ প্রদান করেন এবং সাব-রেজিস্ট্রার ভাঙ্গার ১/৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখের নং ১০.০৫.২৯১০.১০১.১০৩.৯৯.০০১.২৪-০৯৮ স্মারকে ৭নং আলগী ইউনিয়নের সাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ নুরুজ্জামান তার রক্ষিত যাবতীয় রেকর্ড-পত্রাদি ক্যাটালগ বহি অনুযায়ী আমার নিকট বুঝিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন কিন্তু মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজী সরকারী আদেশ ভঙ্গ করিয়া নিজ অফিসে নতুন সাইনবোর্ড লটকাইয়া জনসাধারনের সাথে ধোকাবাজি ও প্রতারনা করিয়া প্রচার করিতেছে। কাজী আমি ছিলাম,
আমিই আছি, দেখেন, অফিসে নতুন সাইন বোর্ড লাগাইছি।
আলগী ইউনিয়নের লাইসেন্স বাতিলকৃত নিকাহ রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজীর বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন দূর্নীতি, জালিয়াতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাটারীতা, প্রতারণা এবং অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগ জেলা প্রশাসক ফরিদপুরের তারিখ ২৪/০৩/২০২২ইং নং ০৫.১২.২৯০০.০২২.১৮.০৩৪.২১.২২৯ স্মারকে সত্য প্রমানিত। এছাড়াও উৎকোচ গ্রহণ করে কাবিন নামার দেনমোহর বাড়িয়ে দেয়াতে উক্ত মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজীর বিরুদ্ধে ভাঙ্গা সি.আর-৪২১/১৯ মোকদ্দমার ১নং আসামী হিসাবে পেনাল কোর্টের ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের সশ্রম কারা দন্ডের আদেশ হয়। উক্ত মামলায় তিনি সাজা প্রাপ্ত আসামী হওয়ায় হাজত খেটেছে। বর্তমানে তিনি আপিলের শর্তে জামিনে আছে।
জেলা রেজিস্ট্রারার ফরিদপুর কর্তৃক আমার উপর অর্পিত নিকাহ রেজিস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ৭নং আলগী ইউনিয়নের হাট-বাজারে জনসংযোগ স্থান সমূহে প্রচারের লক্ষে ব্যানার লাগাই কিন্তু মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজী সরকারী আদেশ ভঙ্গ করিয়া আমার লটকানো ব্যানার তার পুত্র মোঃ আবিদগং বখাটে ছেলেদের সাথে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে আমার লটকানো ব্যানার খুলে নেয় এবং আমাকে অকথ্য-অশ্রব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কোথাও পেলে হাত ভেঙ্গে দেবে, জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। আমি বিষয়টি ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে লিখিত ভাবে অবহিত করি এবং ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি যার অভিযোগ নং-৯১৩/২৪ তারিখ: ১৩/০৩/২০২৪ইং। পরবর্তীতে ০৯/০৪/২০২৪ইং তারিখে বেলা ১১:৪৫ মিনিটের সময় আলগী ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে মুন্সীকান্দা জামে মসজিদের পূর্ব দিকে রাস্তার পাশের দোকানে হ্যান্ডবিল বিতরণের সময় উক্ত মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজীর পুত্র মোঃ আবিদ (২৬) হঠাৎ মোটর সাইকেল যোগে কয়েকজন বখাটে ছেলেদের সাথে নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। আমার নিকট থাকা অফিসিয়াল কাগজ-পত্র বহি এবং হ্যান্ডবিল জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং হুমকী দিয়ে বলে এই এলাকা আমার, এই এলাকায় আর দ্বিতীয় বার প্রবেশ করলে জানে মেরে ফেলব, এই এলাকা থেকে তুই এক্ষুনি চলে যাবি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভাংগা থানা সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। বর্তমানে অভিযোগ তদন্তাধিন রয়েছে ।
বর্তমানে মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে বিল্লাল কাজী ও তার ছেলে সহ তাদের অতর্কিত হামলা, হুমকী ও অমানবিক আচরণে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করিতেছি। আপনারা জাতির বিবেক। তাই আপনাদের সঠিক তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরে আমার বিরুদ্ধে নির্যাতীত, নিপীড়িত মানুষের অসহায়ত্বের কথা নিজ নিজ লিখনির মাধ্যমে স্ব-স্ব পত্র-পত্রিকায় তুলে ধরে অসহায়ের পাশে দাড়ান।