গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া নাতি সাজিয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) পদে চাকুরী নেয়ার অভিযোগ

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের নাজমুল হুদা আকন্দ (সুজন) নামে উক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া নাতি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কিনে চাকুরী নেয়ার সুজনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনার সংশ্লিষ্ট উপপরিচালক কর্তৃক আমলে নিয়ে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটাই সচেতন মহলের প্রত্যাশা।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলা বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মচারী আব্দুর রশিদ আকন্দের পুত্র মোঃ নাজমুল হুদা আকন্দ (সুজন) তথ্য গোপন করে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা সাকোয়া গ্রামের জিয়ারত হোসেনের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমানের নাতি হিসাবে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট/প্রত্যয়ন পত্র কিনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকুরী নেন। তাহার প্রকৃত নানা হচ্ছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভবানীগঞ্জ কঞ্চিপাড়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন সরকারের পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় ব্যক্তি জানান, দুর্নীতিবাজে এই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) নাজমুল হুদা সুজনের সাথে মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমানের আত্মীয়তার কোন যোগসুত্র না থাকা স্বত্তে¡ও তথ্য গোপন করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে তিনি প্রথমে সিলেটের সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম তারপর সাদুল্যাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে এবং বর্তমানে পলাশবাড়ীতে উপজেলায় কর্মরত আছেন। বিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ দুর্দাশায় কথা চিন্তা করে তাদের জীবিকা নির্বাহসহ পুর্নবাসরে জন্য বেতনবৃদ্ধিসহ নিজস্ব আত্মীয়দের মধ্যে চাকুরী দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সেক্ষেত্রে একজন মুক্তিযোদ্ধা কিভাবে টাকার বিনিময়ে ভুয়া আত্মীয়তাতার পরিচয় দিয়ে তার প্রত্যয়ন পত্র তথ্য বিবেককে বিক্রি করেন এটা তাদের বোধগম্য নহে। এ ব্যাপারে ১১ মার্চ ২০১৮ইং সালে জয়ভিশন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হওয়ায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আইনী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
আরও জানাগেছে, ০২/০৫/২০২৪ইং তারিখে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বরাবরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নামে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ সূত্রে আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য ১টি আদেশ প্রেরণ করেন, যাহার নম্বর-৩২০, তাং-২৮/০৫/২০২৪ইং।
তাই সচেতন মহল দুর্নীতিবাজ উভয় পক্ষকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ আইন প্রয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।