ফুলছড়িতে স্কুলছাত্রকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেল বালুচরে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালাসোনার বালুচরে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় আকাশ
(১১) নামে পঞ্চম এক শ্রেণির স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে
আহত শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
শিশুটিকে দেখে আতংকিত মনে হচ্ছিল।
১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাড়ে রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর কালাসোনা থেকে আকাশকে
উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ওই কিশোর নিখোঁজ হয় বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
উদ্ধার হওয়া শিশু আকাশ উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের বাজে তেলকুপি এলাকার মঞ্জু মিয়ার
ছেলে। সে স্থানীয় চরকৃষ্ণমণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
আকাশের পরিবারের দাবি, শত্রু তাবশত প্রতিপক্ষরা আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা
ঘটায়। আকাশের জ্যাঠা (চাচা) মিলন মিয়া বলেন, বুধবার মাগরিবের আজানের সময়
থেকে আকাশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চর কালাসোনার নদীর
কিনারার একটি ঘাঘড়ায় বালুর নিচ থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় চৌকিদার ও
স্থানীয়রা আকাশকে উদ্ধার করে তাদের খবর দেয়। পরে তারা তাকে নিয়ে কালিরবাজার থানায়
যায়। থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠায়। তারা এখন গাইবান্ধা
হাসপাতালে আছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী এনায়েতের লোকজনের সাথে তাদের
দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ-মামলা চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষরা তার
ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বালু চাপা দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান
বসুনিয়া বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।