খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সনাক ও এ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপের মতবিনিময় সভা

আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এবং এ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপের (এসিজি) একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়ন এবং রোগীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক এবং খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জহুরুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের। এছাড়া বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ পূর্ণ জীবন চাকমা এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা।
বিগত মতবিনিময় সভায় উত্থাপিত কিছু বিষয় পুনরায় আলোচনা করা হয়। বিশেষত, হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার, ডেলিভারি রোগীদের সেবা এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে কথা হয়। এছাড়া কমিউনিটি অ্যাকশন সভার বক্তাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে ডেলিভারি রোগীদের সাথে নার্স ও স্টাফদের খারাপ আচরণ এবং অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠে আসে।
সভায় ইয়েস দলনেতা মোঃ মেহেদি হাসান সোহাগ বলেন, রক্ত দিতে আসা ব্যক্তিদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে হাসপাতালের সিভিল সার্জন সর্তকতা জারি করেছেন এবং রক্তদাতাদের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের বলেন, হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। বিশেষত গাইনী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রোগীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এছাড়াও তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগীদের পরীক্ষার জন্য জোর করে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করে সতর্ক করেন এবং কোনো রশিদ বিহীন লেনদেন না করার আহ্বান জানান।
সভাপতি জহুরুল আলম বলেন, হাসপাতালের কিছু নার্স ও স্টাফদের কর্মস্থলে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির দীর্ঘদিন ধরে মিটিং না হওয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন এবং দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন সম্ভব বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।