খুঁজুন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: সিআরপিসির ১৭টি ধারায় কী বলা আছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:২৫ অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: সিআরপিসির ১৭টি ধারায় কী বলা আছে

সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গতকাল মঙ্গলবারের এক প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৭টি ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা পেয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। ধারাগুলো হলো ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এহসানুল হক সমাজী প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সিআরপিসির বিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

দেখে নেওয়া যাক সিআরপিসির ওই ধারাগুলোয় কী বলা আছে, কোন কোন অপরাধ এর আওতাভুক্ত।

সিআরপিসির ৬৪ ধারা:

এ ধরায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে বলা আছে। এই ধারার ভাষ্য হচ্ছে, যখন ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান, তাঁর সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তখন তিনি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেন অথবা গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারেন।

সিআরপিসির ৬৫ ধারা:

এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অথবা তাঁর উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। ৬৫ ধারার ভাষ্য, বিচারের জন্য গ্রহণ করার পর তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। অথবা তাঁকে তিনি গ্রেপ্তারের হুকুম দিতে পারেন।

সিআরপিসির ৮৩ ধারা:

এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাইরে কার্যকর করা দরকার, তখন আদালত পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ না দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলার পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার বরাবর ডাকযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠাতে পারবেন। অর্থাৎ যে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন, তিনি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দিতে পারেন। আবার যাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে, তিনি যদি ম্যাজিস্ট্রেটের এলাকার বাইরের লোক হন, তখন পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠাবেন।

সিআরপিসির ৮৪ ধারা:

এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের বাইরের এলাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৪ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, বাইরের এলাকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট অথবা উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমোদন নেবেন। এ অনুমোদন দেওয়া হলে ধরে নেওয়া হবে, যাঁরা অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন।

সিআরপিসির ৮৬ ধারা:

এ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেট যে পদ্ধতি অনুসরণ করবেন, সেটি বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৬ ধারার ভাষ্য, বাইরের এলাকায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে ওই এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর যে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন, সেই আদালতে তাঁকে পাঠাতে হবে। জামিন, মুচলেকা ইত্যাদির বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আইন মোতাবেক আদেশ দিতে পারবেন।

সিআরপিসির ৯৫ (২) ধারা:

এ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, কেবল ম্যাজিস্ট্রেটরা ডাক বা টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষকে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে দলিল অর্পণ করতে বলতে পারেন। একই সঙ্গে ডাক ও টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ দ্বারা ওই সব বস্তুর জন্য তল্লাশি পরিচালনা বা আটক করতে পারেন।

সিআরপিসির ১০০ ধারা:

এ ধারায় অন্যায়ভাবে যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের উদ্ধার করার বিষয়ে বিধান কী, তা বলা আছে। এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এমন বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে কোনো ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়েছে, যাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়। তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে উদ্ধারে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। পরোয়ানা অনুযায়ী তল্লাশির পর যদি আটক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন।

সিআরপিসির ১০৫ ধারা:

এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তল্লাশির বিধান বর্ণনা করা আছে। সিআরপিসির ১০৫ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, নিজের উপস্থিতিতে তল্লাশি করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটে আদেশ দিতে পারেন। যে স্থান তল্লাশির জন্য তিনি হুকুম দিতে পারেন, সেই স্থানে তল্লাশির সময় সশরীর উপস্থিত থাকতে পারেন।

সিআরপিসির ১০৭ ধারা:

এ ধারায় শান্তি রক্ষা ও সদাচরণে মুচলেকার বিষয় বলা আছে। সিআরপিসির ১০৭ ধারার ভাষ্য, যখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয় যে কোনো ব্যক্তি শান্তি ভঙ্গ করতে পারেন বা সর্বসাধারণের প্রশান্তি বিনষ্ট করতে পারেন বা এমন কোনো কাজ করতে পারেন, যাতে শান্তি ভঙ্গ হতে পারে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন, তাহলে ওই ব্যক্তিকে শান্তি রক্ষার জন্য এক বছরের অনধিক সময়ের মুচলেকা দেওয়ার জন্য কারণ দর্শাতে বলতে পারেন।

সিআরপিসির ১০৯ ধারা:

এ ধারায় ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সদাচরণের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১০৯ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পান যে কোনো ব্যক্তি তাঁর উপস্থিতি গোপন করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছেন অথবা যাঁর জীবিকা নির্বাহ করার কোনো প্রকাশ্য পন্থা নেই, তখন ম্যাজিস্ট্রেট ওই ব্যক্তিকে এক বছরের অনধিককালের জন্য মুচলেকা দেওয়ার কারণ দর্শাতে বলতে পারবেন। অর্থাৎ এ ধারা প্রয়োগ হবে, যখন কোনো ব্যক্তি অপরাধ করার জন্য লুকিয়ে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন অথবা জীবিকা অর্জনের প্রকাশ্য ব্যবস্থা নেই।

সিআরপিসির ১১০ ধারা:

এ ধারায় অভ্যাসগত অপরাধীদের সদাচরণে মুচলেকার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১১০ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো ম্যাজিস্ট্রেট খবর পান, তাঁর এখতিয়ারসীমার মধ্যে অভ্যাসগত দস্যু, গৃহভঙ্গকারী, চোর বা জালিয়াত অথবা চোরাই মাল গ্রহণকারী অথবা চোরদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন অথবা চোরাই মাল গোপন বা হস্তান্তর করতে সাহায্য করেন অথবা অভ্যাসগতভাবে অপহরণ, বলপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের মতো অপরাধ করেন বা চেষ্টা করেন অথবা সহায়তা দেন অথবা অভ্যাসগতভাবে শান্তিভঙ্গ–সম্পর্কিত অপরাধ করেন বা করার চেষ্টা করেন বা সহায়তা করেন, তখন ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের অনধিককালের জন্য মুচলেকা দেওয়ার আদেশ কেন দেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলতে পারবেন। অর্থাৎ যাঁরা অভ্যাসগতভাবে বারবার চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, প্রতারণার কাজে লিপ্ত হন, তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

সিআরপিসির ১২৬ ধারা:

এ ধারায় জামিনদারদের অব্যাহতির বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১২৬ ধারার ভাষ্য, কোনো ব্যক্তির শান্তিপূর্ণ আচরণ বা সদাচরণের জন্য কোনো জামিনদার যেকোনো সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সম্পাদিত কোনো মুচলেকা বাতিলের আবেদন করতে পারবেন। এমন আবেদন পাওয়ার পর যে ব্যক্তির জন্য জামিনদার দায়ী, তাঁকে হাজির হওয়ার বা হাজির করার জন্য সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে যিনি জামিনদার হন, তাঁর ওপর কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তিনি মনে করেন, তাঁর পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়, তখন আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।

সিআরপিসির ১২৭ ধারা:

এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশের আদেশে জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গসংক্রান্ত বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কোনো থানার ওসি কোনো বেআইনি সমাবেশ অথবা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে—এমন পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে কোনো সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দিতে পারেন।

সিআরপিসির ১২৮ ধারা:

এ ধারায় জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি প্রয়োগের বিধান বর্ণিত হয়েছে। সিআরপিসির ১২৮ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, আদেশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যদি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ না হয় অথবা ছত্রভঙ্গ না হওয়ার সংকল্প প্রকাশ পায়, তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা থানার ওসি বলপূর্বক সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারবেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আটক কিংবা গ্রেপ্তারও করা যাবে।

সিআরপিসির ১৩০ ধারা:

এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা কমিশনপ্রাপ্ত নন এমন কর্মকর্তা, যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সেনাদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁকে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার কাজে এবং গ্রেপ্তার ও আটক করার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজনবোধে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অথবা শাস্তি দেওয়ার জন্য তাঁদের গ্রেপ্তার বা আটক করাতে পারবেন। অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিরক্ষা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগের দ্বারা সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে তিনি সামরিক কর্মকর্তাকে আহ্বান করতে পারেন।
সামরিক কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী, আদেশ অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার ও আটক করতে পারেন। তবে তাঁরা শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল হবেন।

সিআরপিসির ১৩৩ ধারা:

এ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, যখন কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনো সংবাদ পান যে জনসাধারণ আইনসংগতভাবে ব্যবহার করছেন বা করতে পারেন—এমন কোনো পথ, নদী বা খাল থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থান থেকে বেআইনি বিঘ্ন বা উপদ্রব অপসারণ প্রয়োজন অথবা কোনো ব্যবসা বা পেশা পরিচালনায় অথবা কোনো মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য রাখা স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য বা শারীরিক আরাম-আয়েশের পক্ষে ক্ষতিকর, সে জন্য এমন ব্যবসা বা পেশা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত হওয়া প্রয়োজন অথবা এমন মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য অপসারণ হওয়া দরকার অথবা কোনো ঘরের নির্মাণকাজে অথবা কোনো ঘরে, তাঁবু বা কাঠামো বা কোনো গাছ এমন অবস্থায় রয়েছে, যা পড়ে যেতে পারে; যাতায়াতকারীদের ক্ষতির কারণ ঘটাতে পারে, যে কারণে ঘর বা তাঁবু অপসারণ বা গাছ অপসারণ বা ঠেকা দেওয়া প্রয়োজন অথবা জনসাধারণের বিপদ থেকে নিবারণের জন্য কোনো পথ বা সর্বসাধারণের ব্যবহার করা স্থানের কাছে পুষ্করিণী, কূপ বা খন্দকের চারদিকে বেড়া প্রয়োজন অথবা কোনো বিপজ্জনক প্রাণী বিনষ্ট, আটক বা অন্য কোনোভাবে বিলি-ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তখন ম্যাজিস্ট্রেট যে ব্যক্তি বাধা অথবা উপদ্রব সৃষ্টি করছেন অথবা এমন ব্যবসা বা পেশা চালাচ্ছেন অথবা এমন মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য রাখিয়েছেন অথবা ঘর, তাঁবু, কূপের মালিক দখলদারদের ওই সব বাধা অপসারণ করার আদেশ দিতে পারবেন।

সিআরপিসির ১৪২ ধারা:

সিআরপিসির ১৪২ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, ১৩৩ ধারা অনুসারে আদেশ দেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন, জনসাধারণের প্রতি গুরুতর রকমের আসন্ন বিপদ বা ক্ষতি প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন, তাহলে তিনি মীমাংসা সাপেক্ষে বিপদ মোকাবিলা বা ক্ষতি প্রতিরোধে জন্য যেরূপ প্রয়োজন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ হয়েছে, তাঁর সেরূপ আদেশ জারি করবেন। এরপরও যদি আদেশ না মানেন, তখন বিপদ মোকাবিলা বা ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ ভালো মনে করেন, নিজে সেরূপ পন্থা অবলম্বন করবেন অথবা অবলম্বন করাবেন। এই ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা চলবে না।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায়, বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোয় নাশকতা ও দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের মতো কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে সরকার লক্ষ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপতৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সীমিত সময়ের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেনাবাহিনীর এমন দায়িত্ব পালনের প্রয়োআর জনীয়তা থাকবে না।

ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আবুনাঈমরিপন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৭ অপরাহ্ণ
ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (তাঁত বোর্ড) শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা,নরসিংদী,কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,মৌলভীবাজার,সিলেট,সুনামগঞ্জ মহাসড়ক।
১১ ইং ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা এসে জড়ো হতে থাকে। পরে তারা মিছিল নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় সাহেপ্রতাপ মোড়ে ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে।শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁত বোর্ড থেকে বস্ত্র অধিদফতর এর অধীনে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবী উপেক্ষা করে কলেজের কার্যক্রম বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের অন্য জায়গায় শিক্ষাদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।এর আগে তারা নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদফতরের অধীনে নিয়ে পাঠদানের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সরকার সেটিকে আমলে না নিয়ে বরং নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রমকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের টাঙ্গাইলের স্থানান্তরে পরিকল্পনা করেছে,
যেটি শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। যা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টায় বিক্ষোভ চলছিল। ঘটনাস্থলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিম উল্লাহ, নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন

জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন

জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর আওতায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গেপ্তারকৃতরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জামালপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১১টি টিম একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

সদর উপজেলায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারার মামলায় শৈলেরকান্দা এলাকার মরহুম আকবর হোসেনের ছেলে ও ইটাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম (৫৭) কে গেপ্তার করা হয়। এছাড়া, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারার মামলায় শহরের কাচারীপাড়া এলাকার মাসুদুল আলমের ছেলে ও ছাত্রলীগের সদস্য মিরান আহমেদ (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।

সরিষাবাড়ী উপজেলায়, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৯/৩২৩/১১৪ ধারায় ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দায়েরকৃত মামলায় গোপীনাথপুর এলাকার মৃত বাদশাহ মণ্ডলের ছেলে ও ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আলী (৫০) কে ভাটারা বাজার থেকে গেপ্তার করা হয়।

ইসলামপুর উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় ১৪ জানুয়ারি দায়ের হওয়া মামলায় তারতাপাড়া এলাকার মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম ডাকলু (৩৫) এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ (সংশোধনী ২০০২) এর ৩ ধারায় ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় মৌজাজাল্লা পোদ্দারপাড়া এলাকার শ্রী ভানু চন্দ্র মৃধার ছেলে ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী শ্রী কাজল চন্দ্র মৃধা (৪৪) কে গেপ্তার করা হয়।

মাদারগঞ্জ উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বালিজুড়ী পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ দুল্লুর ছেলে ও মাদারগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মোঃ অন্তর (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।

জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ছয়জনকে গেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই,

মো:হাফিজুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০২ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই,

টাঙ্গাইল সখিপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের কচুয়া রোডের খেলাঘর ও ইউসুফ মিয়ার খোলা  পেট্রোলের দোকানসহ অন্তত ৫টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।।গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৪০মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শুরু হয়। পরে সখিপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইতিমধ্যে   দোকানগুলোর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন,আগুনে পুড়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী টাইগার নজরুল সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় ছিল- অগ্নিকাণ্ডের পশ্চিম পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও পূর্বপাশে একটি টিনের দোকানের পরেই অগ্রণী ব্যাংকের শাখা।আগুন ছড়িয়ে পড়লে শাখা দুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড.আহমেদ আযম খান দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্বস্থ করেন। লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি সালাহউদ্দন আলমগীর রাসেল আগুনে পুড়ে যাওয়া কচুয়া রোডের ৫টি দোকান পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের ১৫লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।

ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই, উন্মুক্ত হলো দেবতাখুম  স্বপ্ননের পর্যটনকেন্দ্র নওগাঁ সাপাহারে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডাকবাংলো চত্বরে লিফলেট শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। সখিপুরে তারুণ্য উৎসবে জেলা প্রশাসকের আগমন টেকনাফের  অপহরণকারী দলের মূলহোতা কুখ্যাত আবু তালেব গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক শিবপুরে থানা থেকে আ:লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জজ মিয়া আটক কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৪০০ পিস ইয়াবা ও ২০ গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার পাবনার সাঁথিয়ায় ইটবোঝাই ট্রলির ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত। ডেভিল হান্ট অভিযানে আক্কেলপুরে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার নড়াইলে ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে পাঁচশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার শার্শা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের সাবেক এমপি ও আ.লীগ নেতা মজিদ খান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামিকাল জামালপুরে ছাত্রাবাস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৪জন কালীগঞ্জের সাবেক এমপির ছেলে কামাল দেওয়ানের ইন্তেকাল বকশীগঞ্জের রহিমা সালাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে নন্দীগ্রামে দাখিল মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা: বিচারের দাবিতে জামালপুরে বিক্ষোভ বকশীগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত-১ জামালপুর তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত বান্দরবান রুমায় বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে ছাই তারেক রহমান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় দেড় যুগেও চালু হয়নি নন্দীগ্রামের ২০শয্যা হাসপাতাল “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” পবিত্র কোরআন হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত এর গুরুত্ব ও ফজীলাত টিআর প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাটের তথ্য ফাঁস আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা