চালের দাম বাড়ার যুক্তি দেখছেন না বাণিজ্য উপদেষ্টা

“আমাদের কাছে মনে হয়েছে, একটা সাময়িক মজুতদারির ঘটনা ঘটছে।”
“আমাদের কাছে মনে হয়েছে, একটা সাময়িক মজুতদারির ঘটনা ঘটছে।”
নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (তাঁত বোর্ড) শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা,নরসিংদী,কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,মৌলভীবাজার,সিলেট,সুনামগঞ্জ মহাসড়ক।
১১ ইং ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা এসে জড়ো হতে থাকে। পরে তারা মিছিল নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় সাহেপ্রতাপ মোড়ে ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে।শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁত বোর্ড থেকে বস্ত্র অধিদফতর এর অধীনে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবী উপেক্ষা করে কলেজের কার্যক্রম বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের অন্য জায়গায় শিক্ষাদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।এর আগে তারা নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদফতরের অধীনে নিয়ে পাঠদানের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সরকার সেটিকে আমলে না নিয়ে বরং নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রমকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের টাঙ্গাইলের স্থানান্তরে পরিকল্পনা করেছে,
যেটি শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। যা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টায় বিক্ষোভ চলছিল। ঘটনাস্থলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিম উল্লাহ, নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর আওতায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গেপ্তারকৃতরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জামালপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১১টি টিম একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
সদর উপজেলায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারার মামলায় শৈলেরকান্দা এলাকার মরহুম আকবর হোসেনের ছেলে ও ইটাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম (৫৭) কে গেপ্তার করা হয়। এছাড়া, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারার মামলায় শহরের কাচারীপাড়া এলাকার মাসুদুল আলমের ছেলে ও ছাত্রলীগের সদস্য মিরান আহমেদ (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলায়, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৯/৩২৩/১১৪ ধারায় ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দায়েরকৃত মামলায় গোপীনাথপুর এলাকার মৃত বাদশাহ মণ্ডলের ছেলে ও ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আলী (৫০) কে ভাটারা বাজার থেকে গেপ্তার করা হয়।
ইসলামপুর উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় ১৪ জানুয়ারি দায়ের হওয়া মামলায় তারতাপাড়া এলাকার মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম ডাকলু (৩৫) এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ (সংশোধনী ২০০২) এর ৩ ধারায় ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় মৌজাজাল্লা পোদ্দারপাড়া এলাকার শ্রী ভানু চন্দ্র মৃধার ছেলে ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী শ্রী কাজল চন্দ্র মৃধা (৪৪) কে গেপ্তার করা হয়।
মাদারগঞ্জ উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বালিজুড়ী পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ দুল্লুর ছেলে ও মাদারগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মোঃ অন্তর (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।
জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ছয়জনকে গেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টাঙ্গাইল সখিপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের কচুয়া রোডের খেলাঘর ও ইউসুফ মিয়ার খোলা পেট্রোলের দোকানসহ অন্তত ৫টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।।গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৪০মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শুরু হয়। পরে সখিপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইতিমধ্যে দোকানগুলোর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন,আগুনে পুড়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী টাইগার নজরুল সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় ছিল- অগ্নিকাণ্ডের পশ্চিম পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও পূর্বপাশে একটি টিনের দোকানের পরেই অগ্রণী ব্যাংকের শাখা।আগুন ছড়িয়ে পড়লে শাখা দুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড.আহমেদ আযম খান দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্বস্থ করেন। লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি সালাহউদ্দন আলমগীর রাসেল আগুনে পুড়ে যাওয়া কচুয়া রোডের ৫টি দোকান পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের ১৫লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।