প্রতিদিন সাহেবের চরে আসে শতশত শিকারী

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের বুক ছিরেই প্রবাহিত ব্রম্মপুত্র নদ।বিভিন্ন এলাকাসহ প্রতিবেশী উপজেলা থেকেও আসছে শিকারী।
ভাঙ্গন প্রতিরক্ষা বাঁধের ব্লকে বসেই নদের জলে টোপ সম্বলিত বড়শি ফেলে তুলে নিচ্ছে বহু প্রজাতির ছোট বড় মাছ।
স্থানীয়রা জানান,কাকডাকা ভোর থেকেই শুরু হয় শতশত বড়শি শিকারির আনাগোনা, ব্রম্মপুত্রে মাছ ধরতে।রাতদিন শিকারীদের বড়শি দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের জলের উপর ভেসে থাকা ব্লকগুলিতে বসেই চলছে দেদার্সে মাছ শিকার। গ্রীষ্ম, বর্ষা,শীতসহ সব ঋতুতেই এখানে মাছ ধরতে আসে শিকারীরা।
স্থানীয়দের বরাতে আরও জানা যায় ,
শীতের সময় শিকারীরা প্রচন্ড ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে, কোনো কোনো সময় শীতল হাওয়া, গুরি গুরি বৃষ্টি কিংবা শৈতপ্রবাহ উপেক্ষা করে মাছ শিকারে মত্ত থাকে,মনে হয় তারা যেন হিমালয়ের পাদদেশে গভীর ধ্যানে মগ্ন।
শিকারী ও স্থানীয়দের মারফত জানা যায়– বোয়াল,বাইম,ঘাওরা, বাঘার বা রিডাও মিলছে কারো কারো বড়শিতে, আবার বন্যার সময় বিভিন্ন ফিসারিজ বা পুকুর থেকে বাধঁ ভাঙ্গা স্রোতে আসা রুই,কাতলা, মৃগেলসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছও পাওয়া যায়।
প্রকৃতি যখন রাতের আধার কাটিয়ে প্রাত সাজে ব্যাস্ত, পূর্ব দিগন্তে সূর্য্যি মামার তন্দ্রা মুক্ত ভাব। সেই পাখির ডাকা ভোর কাটিয়ে শুরু হয় দূরান্ত থেকে মাছ শিকারীদের আবির্ভাব। কেউবা শখে কেউবা পেশাগত কেউবা সাংসারিক মাছ চাহিদা মিঠাতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন।সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বহিরাগত অসংখ্য শিকারী দেখা যায়, আবার রাতেও কিছু শিকারীকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।