বরই ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে প্রকৃতি সেজেছে নবরুপে

প্রতিটি বরই গাছের শাখায় শাখায় দেখা যাচ্ছে ফুল। এ যেন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বরই গাছ! এতে অনেকগুণ বেড়ে গেছে গাছগুলোর সৌন্দর্য। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে এখন এ দৃশ্য চোখে পড়ছে। অপরদিকে বরই ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে ছোটাছুটি করছে মৌমাছির দল।
সাধারণত বছরের অক্টোবর মাসে বরই গাছে ফুল আসে। ফল ধরতে শুরু করে নভেম্বরের শেষের দিকে। ফল পাকা শুরু হয় ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে। এ সময় কাঁচাপাকা বরইয়ে ভরে যায় প্রতিটি গাছ। ছোট-বড় সবাই বরই খেতে ছুটে আসে বরই গাছতলায়। মার্চ মাস পর্যন্ত এ ফল পাওয়া যায়। টক-মিষ্টি স্বাদের বরই নারী-পুরুষ সবারই পছন্দ। এটি কুল নামেও পরিচিত। যে নামেই সম্বোধন করা হোক না কেন সবার পছন্দের ফল এটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধুলজুরি,সাহেবের চর, পুমদী,গোবিন্দপুর,জিনারী,আড়াইবাড়িয়া বাগান থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনার বরই গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।নাকফুলের মতো দেখতে বরই ফুলের রাজ্যে এখন পিঁপড়াদের দৌড়াদৌড়ি আর মৌমাছিদের আনাগোনা বেড়েছে। দেশি বরই ছাড়াও কাশ্মিরি কুল ও আপেল কুলের বাগান রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নৈপুররা গ্রামের বাসিন্দা মো. চান মিয়ার বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৩টি দেশি বরই গাছ। প্রতিটি বরই গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল।
সিদলা ইউনিয়নের
সাহেবের চরের সাদেক মিয়া বলেন, আমার দুটি বরই গাছ রয়েছে। প্রতি বছর আমি প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বরই বিক্রি করতে পারি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, বরই চাষে তুলনামূলক খরচ কম। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। পতিত জমিতে বরই গাছ লাগিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব।