বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক : অতিরিক্ত আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী এবং জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কাজের মাধ্যমে যেন দক্ষতা প্রকাশ পায়। কর্মজীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব সময় নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা শিরোমনিতে অবস্থিত পুলিশ টেনিং সেন্টার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত নবীন প্রশিক্ষণার্থীদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে এই বাহিনীর (পুলিশ) রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্যরা সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পুলিশ বাহিনীকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সেবাপ্রাপ্তি এখন দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনগুলোতে পুলিশের সেবার মান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্য বিভিন্ন দেশের জন্য এখন রোল মডেল।
সমাপনী কুচকাওয়াজে একাডেমিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ অর্জনকারী (টিআরসি-২৫২৩৭৫) জাহিদ হাসান, মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ অর্জনকারী (টিআরসি-২৫১৮৮৫) মো. রাব্বি মিয়া এবং সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী (টিআরসি-২৫২১৯৯) মধুসূদন সূত্রধর শুভকে ট্রফি প্রদান করেন অতিরিক্ত আইজিপি।
কুচকাওয়াজে অন্যান্যের মধ্যে পিটিসির কমান্ড্যান্ট মো. নিশারুল আরিফ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং প্রশিক্ষণার্থীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।