রাজস্থলীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উদযাপন

রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ঐতিহাসিক বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক বিপ্লবী ও সংহতি দিবসের সূচনা করা হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়নের শতশত নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা এবং রাজস্থলী বাজারে একটি বিশাল র্যালি হয়ে উপজেলা গণমিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মংঞো মারমার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন
রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবলু, যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুল ইসলাম রনি, বিএনপির সদস্য জিকু দে, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরীসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত তাদের দোসররা রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন পরিকল্পনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করার পরও তারা এখনো থেমে নেই। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে ভারতের মদদপুষ্ট এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেশ গুছানোর সুযোগ না দিয়ে এই সরকারকে বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলতে চায় তারা। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তা কখনো হতে দিবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর। দেশের গণতন্ত্র রক্ষাকারী এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এজন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজ করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।