নোয়াখালীতে রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট, ৩লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১৫ নং শরিফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন জয়নাল আবেদীন।
শুক্রবার বিকেলে অভিযোগকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার প্রতিবেশী আমিরের নির্দেশে শাবাব, শাহজাহান ও আইয়ুব খান আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার গভীর রাতে আমার দোকানের ভিটা দখল করে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ সহ অন্তত ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং আমাদের পুরো পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। এসময় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়, এতে আমি সহ আমার পরিবারের ৩জন গুরুতর আহত হই।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জয়নাল আবেদিন এর দোকান ঘর ও বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে জয়নাল ও তার পরিবারের লোকজনকে উচ্ছেদ করে। এ সময়, জয়নাল আবেদীনের ডাকে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এতে জয়নাল ও তাঁর ছেলে বউ সহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আমির হোসেনের মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি মুঠো ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।