খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন, ১৪৩১

দেখে আসলাম দর্শনীয় স্থান শাহজাদপুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি

শামীম আহমেদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১০ অপরাহ্ণ
দেখে আসলাম দর্শনীয় স্থান শাহজাদপুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি

রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর কাচারি বাড়ির সঙ্গে আমার সাংবাদিকতা জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতি আজও আমার হৃদয় আলোড়িত করে, আমি আনন্দিত হই। কাচারি বাড়িতে রক্ষিত অর্ডার বুক থেকে জানা যায়, জমিদারি দেখাশোনার কাজে কবিগুরু ১৮৯০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম শাহজাদপুর আসেন।

১৮৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনি এখানে এসেছেন। শাহজাদপুর কাচারি বাড়ি অষ্টাদশ শতাব্দীতে ছিল নীলকরদের কুঠি। যে কারণে এখনো এটা ‘কুঠিবাড়ি’ বলে পরিচিত। পরে কবিগুরুর ঠাকুর দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারি নিলামে উঠলে মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় কিনে নেন। এই এলাকা নাটোরের জমিদারির অংশ ছিল। জমিদারি কিনে নিলে প্রায় ১০ বিঘা জমিসহ এই কুঠিবাড়িটিও কবি পরিবারের হাতে আসে।

কবিগুরু পিতার নির্দেশে জমিদারির কাজে শাহজাদপুরে বিভিন্ন সময় এসেছেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি শুধু জমিদারি দেখাশোনার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, প্রয়োজনকে ছাপিয়ে তার মনের মধ্যে জায়গা করে নেয় সাহিত্য সৃষ্টির অনুপ্রেরণা। কুঠিবাড়িতে বসেই তিনি কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। যেগুলো ‘সোনার তরী’ কাব্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ সময় তিনি কিছু ছোটগল্পও রচনা করেন। সেগুলোর মধ্যে ‘দুই পাখি’, ‘ব্যর্থ যৌবন’, ‘কুমার সম্ভবের গান’, ‘ইছামতি নদী’, ‘পোস্ট মাস্টার’, ‘রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা’, ‘ছুটি’, ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘অতিথি’ বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। এর বাইরেও কবি এ সময় ছিন্নপত্র এবং ছিন্নপত্রাবলির আটত্রিশটি পত্র রচনা করেন। পাশাপাশি গানও তিনি রচনা করেছেন শাহজাদপুর কাচারি বাড়িতে বসে।

ঠাকুর পরিবারের জমিদারি ভাগাভাগি হলে শাহজাদপুরের জমিদারি চলে যায় কবির অন্য শরিকদের হাতে। ফলে ১৮৯৭ সালের পর তিনি আর শাহজাদপুর আসেন নি। শাহজাদপুর ছিল কবিগুরুর অত্যন্ত প্রিয় এবং ভালোলাগার স্থান। বিভিন্ন লেখায় বিশেষ করে ছিন্নপত্রাবলিতে তিনি সে কথা গভীর আবেগে স্মরণ করেছেন।

১৮৯৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুর থেকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি বলেছেন : এখানে (শাহজাদপুর) যেমন আমার মনে লেখার ভাব ও ইচ্ছা আসে, এমন কোথাও না। (ছিন্নপত্র-পত্র সংখ্যা ১২৯)।

১৯৪০ সালে কবিগুরুর মৃত্যুর পর শাহজাদপুর কাচারিবাড়ি অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হতে থাকে। তদুপরি ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর বাড়িটি পাকিস্তান সরকার প্রথমে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে এবং পরে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে। পরে বাড়িটি শাহজাদপুর ভূমি অফিসকে বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে ভবনের নিচ তলা শাহজাদপুর তহশিল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। উপর তলায় কবিগুরু যেখানে থাকতেন সেটি নায়েব তহশিলদারদের থাকা-খাওয়া ও রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, কবিগুরুর ব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলোও তারা ব্যবহার করতে থাকে। এভাবেই ভবনটি সকলের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়।

১৯৬৮ সাল। আমি তখন সবেমাত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর পাবনা জেলা (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। হঠাৎ চিঠি পেলাম অফিস থেকে। সেখানে লেখা : ‘আপনি শাহজাদপুর গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঠাকুরবাড়ির উপর ছবিসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি করে যত দ্রুত সম্ভব পাঠাবেন।’ অফিসের নির্দেশ পেয়ে পরদিন গেলাম কাচারি বাড়িতে। পাবনা-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ডান দিকে গেলেই সামনে বাজার। এখানে সাপ্তাহিক হাটও বসে। হাটের নাম দ্বারিয়াপুর হাট। এই হাটসংলগ্ন একটি গ্রাম-দ্বারিয়াপুর। জনশ্রুতি রয়েছে, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের নামানুসারে এই এলাকাটির নামকরণ করা হয়।

হাটে পৌঁছেই দেখতে পেলাম একটি মাঠ। মাঠের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে বহু স্মৃতির নীরব সাক্ষী শাহজাদপুর ঠাকুরবাড়ি। হলুদ রঙের দ্বিতল পাকা ভবন। পাশে ভগ্নপ্রায় আরও কয়েকটি একতলা ভবন। কুঠিবাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা। হাটবার ছাড়া অন্যান্য দিন সকালে সেখানে বাঁশ, খড়ি ইত্যাদি বিক্রি হয় বলে স্থানীয়রা জানালেন। আমি যথারীতি উত্তর পাশ দিয়ে ঠাকুরবাড়ির বারান্দায় গিয়ে পৌঁছলাম।

বাড়িটির পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদীর একটি শাখা। কুঠিবাড়ি চত্বরের পশ্চিম দিকে ছিল ঠাকুর জমিদারির মালখানা আর কর্মচারীদের বাসস্থান। সে বাড়িগুলোর অবস্থাও দেখলাম অনেকটাই জীর্ণ- ইট, চুন, সুরকি খসে পড়েছে। এবার নিচতলার চারদিকে ঘুরে দেখলাম। নিচতলার উত্তর দিকে ছিল একটি পাঠাগার। পাঠাগারে প্রবেশ করেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানলাম কবিগুরুর অনেক বই পাঠকরা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। যে বইগুলো অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও ওই ভবনের মতো। দেখাশোনার কেউ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি করা হয় না। পাঠাগারের একটি পরিচালনা কমিটি আছে কিন্তু তাদেরও পাঠাগার উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই মনে হলো।

নিচতলায় একটি পোস্ট অফিসও দেখতে পেলাম। সামনের উত্তর দিকে প্রধান প্রবেশপথ। লোহার শিক আর মাঝে মাঝে ইটের পিলার দিয়ে কুঠিবাড়ির সম্মুখভাগ ঘেরা। তাও আবার অনেক জায়গায় ভাঙা। স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা গেল কুঠিবাড়ির উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বাগান ছিল কিন্তু তার অস্তিত্ব লুপ্তপ্রায়। কুঠিবাড়ির চতুর্দিকে আম, লিচু, ঝাউগাছ ও ফুলের বাগান ছিল। যত্নের অভাবে সেগুলোও নেই। উত্তরের বারান্দায় অবস্থিত সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলাম। দোতলায় বারান্দার চতুর্দিকে রেলিং ছিল কিন্তু কিছুই চোখে পড়ল না। এক সময় দক্ষিণের বারান্দা থেকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠবার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম না।

একজন দাঁড়িয়ে আছেন দেখে পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘আমি হাসান আলী, ঠাকুরবাড়ি পাহারা দেই। বাবুরা চলে গেলেন, আমরা সেই থেকে এখানেই আছি। আমার বাবা কোরবান আলী ছিলেন কবিগুরুর খাস কামরার লোক।’ হাসান আলীকে নিয়ে কবি যেখানে থাকতেন সেই ঘরগুলো দেখলাম। তিনি বর্ণনা দিতে লাগলেন, কোন ঘরে কবি থাকতেন, কোন ঘরে লেখালেখি করতেন, কোন ঘরে অতিথিদের নিয়ে বসতেন ইত্যাদি।
আমি সব দেখে মর্মাহত হলাম, কষ্ট পেলাম। কারণ তখন সেখানে নায়েব তহশিলদাররা থাকছেন।

এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহারে ক্ষুব্ধ না হয়ে উপায় ছিল না। সেদিন আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম, কবির কত স্মৃতি উপেক্ষিত হয়েছে। দেখলাম পূর্ব পাশের যে ঘরে কবি রচনা করেছেন অমূল্য সব রচনা সেই ঘর তহশিলদারেরা প্রস্রাবখানা হিসেবে ব্যবহার করছেন। ভাবা যায়! কবির ব্যবহার করা পালকি ব্যবহৃত হচ্ছে নায়েব সাহেবদের জুতা, স্যান্ডেল রাখার কাজে। শ্বেত পাথরের যে বিরাট টেবিল ছিল, কবি ব্যবহার করতেন, সেই টেবিলে তরকারি এবং হাঁড়ি-পাতিল রাখা! কবির বসবার ঘরে সোফা দেখা গেলো বটে কিন্তু কাপড় দিয়ে ঢাকা। কবির হারমোনিয়ামটির ওপর কয়েক পরতের ধূলা জমে আছে। এ ছাড়া সেকালের বাতি, একটি টানা পাখা, দরজায় ঝোলানো পর্দা, কবি পরিবারের বেশ কিছু ছবিও দেখেছিলাম। কবির শোবার ঘরে দুটি পালঙ্ক, এক কোণে দুটি টেবিল, আয়না, কাপড় রাখার আলনা, গুটিকয় চেয়ার, ইজি চেয়ার ইত্যাদি রাখা দেখলাম। এগুলো সবই কবির ব্যবহৃত স্মৃতিচিহ্ন।

অথচ সেগুলো ভূমি অফিসের কর্মচারীরা ব্যবহার করছেন। এরপর ঘুরে ঘুরে দেখলাম কবির ব্যবহৃত একজোড়া খড়ম, নলসমেত হুঁকো, ফুলদানী, রান্না ঘরে ব্যবহৃত তৈজসপত্র, কাপ পিরিচ, হট ওয়াটার পট, হট ওয়াটার ট্রে, লণ্ঠন, শতছিন্ন বালিশের ওয়াড়, মশারি আর লেপের ছিন্নবিচ্ছিন্ন ওয়াড়। হাসান আলীই সব দেখালেন এবং বললেনও অনেক কিছু।

মনে কষ্ট নিয়ে ঠাকুরবাড়ি থেকে পাবনা চলে এলাম। পরদিন একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ৮-১০ টি ছবিসহ পাঠিয়ে দিলাম। দিন দুয়েক পর ৮ টি ছবিসহ প্রতিবেদনটি ছাপা হলো। প্রতিবেদনটি প্রশংসিতও হলো। আকাশবাণী (কলকাতা) থেকে দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ পর্যালোচনা করলেন তিনদিন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বিষয়টি ভালোভাবে নিল না। তাদের কুদৃষ্টি পড়ল ‘দৈনিক সংবাদ’-এর ওপর।

হাইকোর্টে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিলের মামলা হলো। তৎকালীন সম্পাদক জহুর হোসেন চৌধুরী ও সহকারী সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার চিঠি লিখে জানালেন, প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টে হাজির হতে। মামলায় পত্রিকার সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক ও প্রতিবেদককে আসামি করা হয়েছিল। আমি হাইকোর্টে হাজির হলাম। মামলার শুনানি শুরু হলে প্রমাণপত্র দেখালাম। বিচারক মহোদয় কাগজপত্র দেখে মামলা খারিজ করে দিলেন। একইসঙ্গে ঠাকুরবাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে হস্তান্তরসহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হলো।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দায়িত্ব গ্রহণ করে শাহজাদপুর ঠাকুরবাড়িতে এলো। তাদের সঙ্গে এ বিষয়ক আলোচনা হলো। তারা উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িকে ‘রবীন্দ্রস্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে ঘোষণা দিলেন। বলাবাহুল্য এ ঘোষণায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। কারণ এর পেছনে কিছুটা হলেও আমি সেদিন অবদান রাখতে পেরেছিলাম- এটা ভেবে আজও আমার গর্ব হয়।

এরপর থেকেই বাড়িটি নতুন করে সাজানো হয়। ইউরোপীয় ও রোমান স্থাপত্য ধারায় নির্মিত দ্বিতল বাড়িটিতে রবীন্দ্রস্মৃতির অনেক নিদর্শন রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত অনেক ছবি নিচতলায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্র সান্নিধ্যে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, শেরে বাংলা ফজলুল হকসহ প্রথিতযশা ব্যক্তিদের ছবি আছে জাদুঘরে।

কবির পারিবারিক অনেক ছবিও সেখানে আছে। আরও আছে কবির নোবেল সনদপ্রাপ্তি এবং শান্তি নিকেতনে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর সংবর্ধনার ছবি। এ ছাড়াও জাদুঘরে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি, পাণ্ডুলিপির ওপর তাঁর চিত্রাঙ্কন অনুশীলন এবং অনেক চিত্রকর্মের ছবি। তাঁর ব্যবহৃত খাট, সোফা, আলনা, আরাম কেদারা, ব্রোঞ্জ নির্মিত দ্রব্যসামগ্রী সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দর্শনার্থীরা যা দেখে আজ অবধি মুগ্ধ হচ্ছে।

ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আবুনাঈমরিপন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৭ অপরাহ্ণ
ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (তাঁত বোর্ড) শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা,নরসিংদী,কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,মৌলভীবাজার,সিলেট,সুনামগঞ্জ মহাসড়ক।
১১ ইং ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা এসে জড়ো হতে থাকে। পরে তারা মিছিল নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় সাহেপ্রতাপ মোড়ে ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে।শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁত বোর্ড থেকে বস্ত্র অধিদফতর এর অধীনে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবী উপেক্ষা করে কলেজের কার্যক্রম বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের অন্য জায়গায় শিক্ষাদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।এর আগে তারা নরসিংদীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদফতরের অধীনে নিয়ে পাঠদানের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সরকার সেটিকে আমলে না নিয়ে বরং নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রমকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের টাঙ্গাইলের স্থানান্তরে পরিকল্পনা করেছে,
যেটি শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। যা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টায় বিক্ষোভ চলছিল। ঘটনাস্থলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিম উল্লাহ, নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন

জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন

জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর আওতায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গেপ্তারকৃতরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জামালপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১১টি টিম একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

সদর উপজেলায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারার মামলায় শৈলেরকান্দা এলাকার মরহুম আকবর হোসেনের ছেলে ও ইটাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম (৫৭) কে গেপ্তার করা হয়। এছাড়া, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারার মামলায় শহরের কাচারীপাড়া এলাকার মাসুদুল আলমের ছেলে ও ছাত্রলীগের সদস্য মিরান আহমেদ (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।

সরিষাবাড়ী উপজেলায়, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৯/৩২৩/১১৪ ধারায় ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দায়েরকৃত মামলায় গোপীনাথপুর এলাকার মৃত বাদশাহ মণ্ডলের ছেলে ও ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আলী (৫০) কে ভাটারা বাজার থেকে গেপ্তার করা হয়।

ইসলামপুর উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় ১৪ জানুয়ারি দায়ের হওয়া মামলায় তারতাপাড়া এলাকার মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম ডাকলু (৩৫) এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ (সংশোধনী ২০০২) এর ৩ ধারায় ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় মৌজাজাল্লা পোদ্দারপাড়া এলাকার শ্রী ভানু চন্দ্র মৃধার ছেলে ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী শ্রী কাজল চন্দ্র মৃধা (৪৪) কে গেপ্তার করা হয়।

মাদারগঞ্জ উপজেলায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬/৮/৯/১০/১১/১২ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বালিজুড়ী পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ দুল্লুর ছেলে ও মাদারগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মোঃ অন্তর (১৯) কে গেপ্তার করা হয়।

জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ছয়জনকে গেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই,

মো:হাফিজুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০২ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই,

টাঙ্গাইল সখিপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের কচুয়া রোডের খেলাঘর ও ইউসুফ মিয়ার খোলা  পেট্রোলের দোকানসহ অন্তত ৫টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।।গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৪০মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শুরু হয়। পরে সখিপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইতিমধ্যে   দোকানগুলোর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন,আগুনে পুড়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী টাইগার নজরুল সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় ছিল- অগ্নিকাণ্ডের পশ্চিম পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও পূর্বপাশে একটি টিনের দোকানের পরেই অগ্রণী ব্যাংকের শাখা।আগুন ছড়িয়ে পড়লে শাখা দুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড.আহমেদ আযম খান দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্বস্থ করেন। লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি সালাহউদ্দন আলমগীর রাসেল আগুনে পুড়ে যাওয়া কচুয়া রোডের ৫টি দোকান পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের ১৫লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।

ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। জামালপুরে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ছয়জন টাঙ্গাইল সখীপুর ৫ টি দোকান পুড়ে ছাই, উন্মুক্ত হলো দেবতাখুম  স্বপ্ননের পর্যটনকেন্দ্র নওগাঁ সাপাহারে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডাকবাংলো চত্বরে লিফলেট শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। সখিপুরে তারুণ্য উৎসবে জেলা প্রশাসকের আগমন টেকনাফের  অপহরণকারী দলের মূলহোতা কুখ্যাত আবু তালেব গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক শিবপুরে থানা থেকে আ:লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জজ মিয়া আটক কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৪০০ পিস ইয়াবা ও ২০ গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার পাবনার সাঁথিয়ায় ইটবোঝাই ট্রলির ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত। ডেভিল হান্ট অভিযানে আক্কেলপুরে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার নড়াইলে ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে পাঁচশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার শার্শা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের সাবেক এমপি ও আ.লীগ নেতা মজিদ খান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু আগামিকাল জামালপুরে ছাত্রাবাস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৪জন কালীগঞ্জের সাবেক এমপির ছেলে কামাল দেওয়ানের ইন্তেকাল বকশীগঞ্জের রহিমা সালাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে নন্দীগ্রামে দাখিল মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা: বিচারের দাবিতে জামালপুরে বিক্ষোভ বকশীগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত-১ জামালপুর তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত বান্দরবান রুমায় বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে ছাই তারেক রহমান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় দেড় যুগেও চালু হয়নি নন্দীগ্রামের ২০শয্যা হাসপাতাল “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” পবিত্র কোরআন হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত এর গুরুত্ব ও ফজীলাত টিআর প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাটের তথ্য ফাঁস আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা