সাবেক মন্ত্রী সহ ৭২জনের বিরুদ্ধে সরাইলে থানায় হত্যা মামলা দায়ের

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে সরাইল থানায় আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
সোমবার(১১ নভেম্বর) বিকালে সরাইল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার এজাহারে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
মামলার বাদী মোঃ শফি আলী সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বাদীর ছেলে নিহত হাফেজ আল-আমীন (১৭)।বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন ১ নম্বর আসামির (মোকতাদির চৌধুরী) নির্দেশে কয়েকজন আসামি আল আমীনকে প্রথমে মারধর করেন, পরে গুলি করে হত্যা করেন।
মামলায় দ্বিতীয় আসামি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন আর তৃতীয় আসামি করা হয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনকসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷
মামলা এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে পরবর্তী কয়েক দিন আন্দোলন করেছিল হেফাজতে ইসলাম। ২৮ মার্চ দেশব্যাপী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও তৌহিদি জনতার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছিল। ওই দিন সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় হরতালে অংশ নিয়েছিলেন মামলার বাদীর ছেলে হাফেজ আল-আমীন (১৭)। সেখানে ১ নম্বর আসামির (মোকতাদির চৌধুরী) নির্দেশে কয়েকজন আসামি আল আমীনকে প্রথমে মারধর করেন, পরে গুলি করে হত্যা করেন।
ওই হত্যা মামলায় নাসিরনগর উপজেলার ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন,নাসিরনগর পূর্বভাগের কোয়রপুর গ্রামের রাখেশ চন্দ্র সরকার(২৩ নং আসামি),চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈনুল ভূঁইয়া (৩৫ নং আসামি) এবং ৬০-৬৫ নং আসামি তালিকায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন,আলমগীর হোসেন, নূর আহাম্মদ ও আলী আসাদ এর নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ৭২ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে এবং মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।