হ্নীলা আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকা হতে বিজিবির অভিযানে ১ লক্ষ ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার, আটক-১

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১ রাউন্ড গুলি এবং ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সময় জড়িত এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গা মাদক কারবারী হলেন,টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর লেদা এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-এ/১৩ এর মৃত সলিমুল্লাহর ছেলে মোঃ নুর রশিদ (২৫)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,বুধবার (১২ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে আনোয়ার প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত
এলাকায় গমন করে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল তিনজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকা যোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনোয়ার প্রজেক্ট বরাবর নাফ নদীর তীরে কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ করা মাত্রই উক্ত চোরাকারবারীদের মধ্যে নৌকায় থাকা ২ জন নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় এবং অপর ১জন চোরাকারবারীকে টহলদল নৌকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি তল্লাশী করে ধৃত চোরাকারবারীর নিকট থেকে ১টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১ রাউন্ড গুলি এবং নৌকার পাটাতনে রক্ষিত দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর ১ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের
নৌকাটিও আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী লেদা এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থান করে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের সাথে জড়িত। এছাড়া সে এফডিএমএন ক্যাম্পে আবুল কালাম ডাকাত দলের একজন স্বক্রিয় সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।