যে বাজারে সব ক্রেতা নারী

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় ছাতিরচরের মহিলা বাজার।যে বাজারে সকল বিক্রেতা পুরুষ হলেও ক্রেতা সকলেই নারী।
সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে এ বাজার।বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজারে মাছ, শাকসবজিসহ নিত্যপণ্য নিয়ে ছুটে আসেন দোকানিরা।
ঘোড়াউত্রা নদী ঘেঁষা এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ হাওরে মাছ শিকার করে। তাই পুরুষরা ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরতে বেরিয়ে পড়েন। মাছ ধরাসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় বাজার করা থেকে রান্নাবান্না সবকিছু নারীদের সামলাতে হয়।
নারী ক্রেতা পিনু বেগম বলেন,আমার সংসারের পুরুষ লোক সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজে চলে গেছে।আবার রাতে এসে খাওয়া দাওয়া করবে। তাই বাজার করতে আসছি।
মরিয়ম নামে এক গৃহীনি বলেন, পরিবারের পুরুষ সদস্য বাড়িতে না থাকায়, গ্রামের পুরুষরা বেশিরভাগ পেশায় মৎস্যজীবী তাই মহিলারাই বাজার করি।
স্থানীয় বাসিন্দা হিমেল বলেন, এই বাজারে নারীদের জন্য আসতে পারি না। এখানে পুরুষ বিক্রেতা হলেও ক্রেতা সকলেই নারী। তাই গ্রামের মানুষ এই বাজারকে নারীদের বাজার বলে ডাকেন।
ব্যবসায়ী মো. সুলতান বলেন, প্রতিদিন আমি এখানে পান বিক্রি করতে আসি। আমার বাড়ি গুরুই ইউনিয়নে। এখানকার ক্রেতা সবাই নারী।সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই বাজার জমজমাট থাকে। এরপর ক্রেতার সংখ্যা কমে যায়। বাজার করার পর মহিলারা তাদের অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়।
ছাতিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভাঙনকবলিত এই ইউনিয়ন,একটি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই ইউনিয়নে ২০ হাজারেরও অধিক মানুষের বসবাস। এই ইউনিয়নের প্রায় সকল মানুষের পেশা মৎস্যজীবী।বাজারের অধিকাংশ ক্রেতা নারী।