নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান

প্রতিবছরের মতো এবারও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস (২৫ নভেম্বর) উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “নারী ও কন্যা শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে একত্রিত হউন”।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নারীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। সহযোগিতায় ছিলেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি, এএলআরডি, Sangat (A Feminist Network), বিএনপিএস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, বাদাবন সংঘ, জাবারাং কল্যাণ সমিতি, আলো, ওয়াইডব্লিউসিএ, ডব্লিউএএফ, দুর্বার নেটওয়ার্ক কর্মসূচি ও নারীপক্ষ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নমিতা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব গীতিকা ত্রিপুরা এবং সঞ্চালনা করেন পিংকি বড়ুয়া।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুষ্মিতা খীসা, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নব কমল চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের আবাসন বিষয়ক সম্পাদক চাইথোয়াই মারমা, বিএমএসসির জেলা কমিটির সভাপতি আওয়াবাই মারমা, ওইমেন এক্টিভিস্ট ফোরামের সদস্য উখি চাকমা
মানববন্ধন শেষে খাগড়াছড়ি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার। তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পরিবার ও সমাজকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ চাকমা, কাবিদাং-এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, মিলনপুর মহিলা সমিতির সভানেত্রী ত্রিনা চাকমা।
সভায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পার্বত্য অঞ্চলে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।