৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাঈমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ২০ বছরের যুবতী

নীলফামারীতে বিয়ের দাবিতে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর নাইম ইসলাম(১৬)এর বাড়িতে অনশন করছেন। ২০ বছর এর যুবতী। গতকাল (২৮ জানুয়ারী) মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অনশনে বসেছেন ওই তরুণী। নাঈম ইসলাম নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ককই বড়গাছা গ্রামের সুবহান আলির ছেলে।
তিনি নীলফামারী কচুয়া চৌরঙ্গী স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী ঐ তরুণী জলঢাকা উপজেলা শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্দ এলাকার মৃত মহুবার হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা বলছে, ওই তরুণীর বাড়ীর পাশের নাঈমের নানার বাড়ী হওয়ায় তরুণীর সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর প্রেক্ষিতে তরুনী গতকাল ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করেন। স্থানীয়রা মিলে তাদের বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অনশনরত তরুণী বলেন, আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত এক বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। গত দুই সপ্তাহ আগে আমাদের কোড এফিডেভি মাধ্যমে বিয়ে হয়। এরমধ্যে নাঈম আমাকে বিভিন্ন জায়গা বেড়াতে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন। যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় আমি তার সঙ্গে গিয়েছি। পরবর্তীতে টালবাহানা করতে থাকে। সে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমি কোনো উপায় না পেয়ে ছেলের বাড়িতে উঠেছি।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা মোঃ সুবাহান আলী বলেন, গত ১৯শে জানুয়ারি আমার ছেলের কাছে জানতে পারি ওর নানার বাড়ির এলাকার এক মেয়ে ও তার পরিবার তাকে জোরপূর্বক স্কুল সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কোট এফিডেভিট (স্টাম্পে) স্বাক্ষর নেন। হঠাৎ করে গতকাল তিনটা মোটরসাইকেল যোগে এই মেয়েটিকে আমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেন। পরে মেয়েটি বাড়ীতে অবস্থান করতে চাইলে আমি বাড়িতে ঢুকতে দেইনি। প্রতিবেশীর এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি কুচক্রী মহল অনেক টাকা দাবি করছে। টাকা দিলে মেয়েকে নিয়ে যাবে। না হলে মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমার ছেলের বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হয়নি সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। তারা আমার ছেলেকে জোর পূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেন এবং সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য কুচক্রী মহল এ কাজটি করেছেন। আমার ছেলেকে এই বয়সে আমি বিয়ে দিতে পারিনা? আর এটা আমি মেনেও নিব না।###