শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে সেলফি তুলতে হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়

শেরপুরের শেরী ব্রিজ সংলগ্ন মৃগী নদীর অববাহিকায় দিগন্তজোড়া বিস্তৃত সূর্যমুখী ফুল বাগানটি এক নজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখাকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের পাদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা। নয়া উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে ৪ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। বাগানটি দেখতে এবং সেলফি তুলতে শেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থীগণ। বাগানটিতে ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। যা প্রকৃতি প্রেমীদের মন মুহূর্তেই আন্দোলিত করে তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগানের সৌন্দর্যমন্ডিত দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে এর আকর্ষণ আরো বহুগুনে বেড়ে যায়। প্রতিদিন বাগানটি এক নজর দেখতে বহুসংখ্যক প্রকৃতি প্রেমী ছুটে আসছেন।
ইতোমধ্যেই শেরপুরের আশ-পাশের ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষস্থানে পরিণত হয়েছে এই সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নামে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এখানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে মালিক পক্ষ।এতে বাগান মালিকদের প্রতিদিন বেশ ভালোই আয় হয় বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক হায়দার আলী।
মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশে একটু সময় কাটানো ও সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। শেরপুরের মাটি সূর্যমুখী চাষে বেশ উপযোগী। আগের বছর সূর্যমুখী চাষ কম হলেও এবছর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় এটি একটি কৃষি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে। এ ব্যাপারে বিনথিয়া নামে এক তরুণী বলেন, আমরা সূর্যমুখী ফুল ইউটিউবে ও ছবিতে দেখেছি। বাস্তবে আগে দেখিনাই। এখন এতবড় বাগানে সূর্যমুখী ফুল দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেছে। খুব ভালো লাগছে। সাহিদা খাতুন বলেন, এতবড় বাগানতো জীবনেও দেখিনাই। মনটা ভরে গেছে। পরিবারের সবাই মিলে এসেছি।
অনেক ছবি তুলেছি। টাইম লাইনে রেখে দিবো। এমন সুযোগ আর নাও আসতে পারে। শিশু প্রিয়াংকা বলে,আমার আম্মু আর আব্বুর সাথে এসেছি। অনেক ফুল দেখে অনেক ভালো লাগছে। বাগান মালিক হায়দার আলী বলেন,সাড়ে ৪ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। আশা করছি লাভবান হতে পারবো। এখানে অনেক ফুল ফুটেছে, প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসছে। আমরা বাগান, ফুল আর গাছ রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই কয়েকজন লোক রেখে দিয়েছি।
তাদের বেতন দিতে ও ক্ষতি পোষাতে সূর্যমুখী বাগানে ৩০-৫০ টাকা হারে টিকেটের ব্যবস্থা করেছি। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ ) হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী। দামও বেশি। তাই কৃষকরা লাভবান হবেন। কৃষি ফসল সূর্যমুখী দেখতে মানুষ ভীর করছে দেখে খুব ভালো লাগছে। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য ও লাভ আকৃষ্ট করছে অন্য কৃষকদের। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছ।