ধান বিক্রি করে উঠছে না উৎপাদন খরচ, অসহায় কৃষক আড়ৎ দের কাছে জিম্মি

জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলায় ধানকাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। তাই কৃষকদের বোরো ধান বিভিন্ন হাট-বাজার ও আডৎ এ উঠতে শুরু করেছে।
এ মওসুমে অন্যান উপজেলায় বাম্পার ফলন হলেও জামালপুর সদর উপজেলার ভাল ফলন না হওয়াতে চাষিদের মুখে হাসি নেই। ফলন ভালো না হওয়ার কারন বিদ্যুতের লোডশেডিং এরং অনেক জমিতে ধান পাকার আগেআগে কারেন্ট পোকায় আক্রমণ করায় আধাঁপাকা ধান কাটতে হচ্ছে। এ ধানের ফলন কম হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শরিফ পুর ইউনিয়নের গোদাশিমলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন কৃষক সাথে কথা বলে জানা যায়, এক পাখি (৩০ শতাংশ) জমি আাবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে জমি পরিষ্কার ৫০০টাকা, হাল চাষ এবং মই ১৫৭০টাকা, ভাড়া সেচ ১৫০০ টাকা, চাড়া লাগানো: ২১০০ টাকা, ঘাসের ঔষুধ: ২৫০টাকা,নিডানো খরচ: ৭০০ টাকা, জমিতে ওষুধ ছিটানো লেভার ৫০০ টাকা, ছত্রাক +মাজরাপোকা ঔষধ দুই বার: ৫০০ টাকা, কারেন্ট পোকার ঔষধ দুইবার ৮০০ টাকা,, সার: ৩৩২০ টাকা,
ধান কাটা মানুষ দ্বারা: ৩৩০০টাকা, বাড়িতে গাড়ি দ্বারা আনা ৯০০ টাকা, ধান মারা মেশিন দ্বারা=৮০০ টাকা,
সর্বমোট: ১৬৭০ টাকা এটা সর্বনিন্ম খরচ। এলাকা ভেদে আরো ২৫০০-৩৫০০ বাড়তে পারে।
এক পাখি জমিতে ধান শুকিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয়, অথচ স্থানীয় ব্যাপারীরা মন প্রতি ৭৮০ টাকা টাকার বেশি দাম দিচ্ছেনা।
আড়ৎদার প্রতি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি ধান ওজনে বেশি নিচ্ছে। ধান ওজন করছে পুরানা দিনের বাটখারা দিয়ে। এক জন কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে চাষ করে কি পেল? এর নাম বাংলাদেশের কৃষক। দেখার কেউ নেই। দুঃখ করে কথা গুলো বলেন কৃষক দেলোয়ার হোসেন।
স্হানীয় একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গোদাশিমলা বাজারে মের্সাস আলহাজ্ব এন্টারপ্রাইজ ও মের্সাস লাভলু এন্টারপ্রাইজ আডৎ এ
প্রতি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি ধান ওজনে বেশি নিচ্ছে। ডিজিটাল মিটার থাকার পরও ধান ওজন করছে পুরানা দিনের বাটখারা দিয়ে। একই চিত্র পাওয়া যায়, নান্দিনা, নরুন্দী, ঘোড়াধাপ, শাহবাজপুর সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে।
ধান বিক্রেতা অধিকাংশ কৃষক আড়ৎদার এর নিকট থেকে শ্রমিকের টাকা নেয়ার জন্য অগ্রিম টাকা নেয়ায় প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না ।
অসহায় কৃষকের দাবি প্রশাসনে একটু নজর দিলে
ওজন কারচুপি ও দাম সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পাবে ।
জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। নতুন ধান কাটা মুহূর্তে দাম কিছুটা কম হলেও তা বাড়বে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। ওজন কারচুপির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন জানান।