চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজে জামায়াতের সুধী সমাবেশ

নীলফামারীর চিলাহাটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম পেশাজীবি ইউনিট চিলাহাটি শাখার উদ্যোগে চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ হলরুমে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন গঠনের লক্ষ্যে জামায়াতের নেতা কর্মী ও স্থানীয় সুধী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রভাষক ও ভোগডাবুড়ী পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি গোলাম আযম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিমলা জনতা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ডিমলা উপজেলা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান আরও উপস্থিত ছিলেন চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইউব আলী, সমাজ সেবক আলতাফুর রহমান আলতাফ, সমাজ সেবক সাজ্জাদ চৌধুরী সহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ওয়াহিদুজ্জামান ফারুক, প্রভাষক চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ।
আলোচনায় বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন গড়ি স্বাধীন বাংলায় আল্লাহর আইন কায়েম করি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমরা অনেক আলোচনায় শুনলাম বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে পরিস্থিতি উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাতে আমরা কেউই ভাবিনি যে হাসিনা সরকারের পতন হবে হাসিনা নিজেও বুঝতে পারে নি। এখন জনগণের সামনে যে জিনিস গুলো প্রকাশ হচ্ছে হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড আয়না ঘরের মর্মান্তিক ঘটনা মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় না জানি কত শত হাজারো নিরিহ নিরপরাধ মানুষকে আয়না ঘরে আবদ্ধ করে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করেছে। এক সময় ফেরাউন যে কাজ গুলো করেছিল সেই গুলোই হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে করেছিল হাসিনা হচ্ছে দ্বিতীয় ফেরাউন। জামায়াতি ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছিলো মানুষের কাছে। জামায়াত যদি কখনও ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ তালেবান হবে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হবে, উগ্রবাদী হবে সংক্ষালঘুদের উপর নির্যাতন করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ দিন দেশে সরকার ছিল না এর মধ্যে আরেকটি দল বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর অগ্নিসংযোগ করে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল আমরা জামায়াতি ইসলামী সংগঠনটি প্রত্যেকটি পাড়ায় মহল্লায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা সহ সকল স্থানে দিন রাত পাহারা দিয়ে রক্ষা করেছি। বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে বিশ্ব নেতাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছি।
তাই আর বাংলার জমিনে স্বৈরশাসক নয় দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবির জন্য ইসলামী শাসনতন্ত্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলামে যোগদান করে আল্লাহর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র গঠন করি। উপস্থিত সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকা তলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথি তার বক্তব্য শেষ করেন।