বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের মত বিনিময় সভায় সদর এসি ল্যান্ড

“দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেই বন্ধ করতে হবে বাল্যবিবাহ” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার শহরের লালুপাড়াস্থ পালকীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, দিনাজপুর এরিয়া প্রোগ্রাম’র আয়োজনে এবং জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মতবিনিময় ও করণীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোর্শেদ আলী খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু: আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক আলমগীর হায়দার, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী আব্দুস ছাত্তার ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) সুদীপ্ত রায়।
স্বাগত ও বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন দিনাজপুর এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেষ্টার গমেজ। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, কাজী ও ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার, গ্রাম-নগর প্রতিবেশী উন্নয়ন কমিটি, ভিজিল্যান্ডস কমিটি, কিশোরী ক্লাব, বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, শিশুশ্রম মনিটরিং কমিটি, শিশু ফোরাম ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে দিনব্যাপী বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও আমাদের করণীয় এবং চলতি মাস সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা যথাক্রমে ১নং চেহেলগাজী,
আউলিয়াপুর ইউনিয়ন, শেখপুরা ইউনিয়ন, শশরা ইউনিয়ন ও দিনাজপুর পৌরসভাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করার আলোকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় নেতা মদন মহন্ত, মুসলিম ধর্মীয় নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, এনজিও ব্যক্তিত্ব, আব্দুল হামিদ, ব্রাকের প্রতিনিধি সামিরা ইসলাম, পল্লীশ্রীর কো-অর্ডিনেটর রওনক আরা হক নীপা, এমবিএসকে’র প্রতিনিধি মোর্শেদা পারভীন মলি। প্রধান অতিথি দিনাজপুর সদর উপজেলার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু: আব্দুর রহমান বলেন,
শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে এখনো একান্ন ভাগ বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিটি পরিবারের সার্বিক অবস্থা তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে একটি ডাটাবেজ তৈরি করবে। যাতে এই সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখে প্রশাসনিক ভাবে বাল্যবিবাহ মুক্ত ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ঘোষনা দিতে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই একদিন বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ মুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রজেক্ট অফিসার রিচার্ড তাপস দাস।