প্রাথমিক শিক্ষায় আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন

বলা হয়ে থাকে, “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।” শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারেনা। শিক্ষা গ্রহণের প্রারম্ভিক ধাপ হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। এই প্রাথমিক শিক্ষায় যে দেশ যত বেশি বিনিয়োগ করতে পেরেছে সে দেশ তত বেশি উন্নত। কারণ, একটা শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর প্রথমে তার বাবা- মা ও পরিবারের সদস্যদের চেনে। এর পর আস্তে আস্তে যখন বড় হয়, তখন তার জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন হয়। আর এই শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রথমে তাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
তাই সে পরিবারের সদস্যদের পর প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠিদের চেনে। পরিবারের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় যেহেতু শিশুদের নতুন পরিবেশ তাই তাকে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয়। আর এই কষ্টসাধ্য কাজ সম্পন্ন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
কাঁদা মাটি কে যেমন যে পাত্রে রাখা যায় শুকিয়ে তা সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। ঠিক তেমনি শিশুদের কে বিদ্যালয়ে যেমন পরিবেশ দেওয়া হবে সে তেমন ভাবে গড়ে উঠবে। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে যুযোপযোগী করতে ভৌত অবকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি নতুন পদ সৃষ্টিসহ জনবল বৃদ্ধি করা এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ও জীবনমান উন্নত করার সকল সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এতে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই তাদের সবটুকু শ্রম ও মেধা প্রয়োগ করার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়নের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারণ একজন শিক্ষক সকল বিষয়ে পারদর্শি হয় না। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে (বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা) পৃথিবীর মধ্যে ঈর্শণীয় স্থান দখল করবে বলে আশা করছি।
লেখক মো: ইয়াকুব আলী সহকারি শিক্ষক
৩৮নং মাড়েয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
বোদা, পঞ্চগড়।