নন্দীগ্রামে ২ জনের আত্মহত্যা

বগুড়ার পৃথক এলাকায় এক কিশোর ও গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামে কিশোর ও আজ শনিবার সকালে শশিনগর গ্রামে গৃহবধূর আত্মহত্যার পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
মৃত কিশোর জহুরুল ইসলাম নন্দীগ্রাম উপজেলার বেতকুড়ি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রাফিজ মিয়ার ছেলে ও মৃত গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার উপজেলার শশিনগর গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেতকুড়ি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রাফিজ মিয়ার সাথে কাজে যেত ছেলে জহুরুল। শুক্রবার রাতের খাবার শেষে বাবার নিকট একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার দাবি করেন ছেলে জহুরুল ইসলাম। এসময় বাবা রাফিজ মিয়া ছেলেকে বলেন, অভাব অনটনের সংসারে রাজমিস্ত্রির কাজ করে তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে কোনরকম সংসার চালাচ্ছি। টাকা গুছিয়ে কিছুদিন পর তোমাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেব। এরপর কিশোর ছেলে জহুরুল ইসলাম বাবার উপর অভিমান করে রাতের কোন এক সময়ে বাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
অন্যদিকে উপজেলার শশিনগর গ্রামে আড়াই বছর পূর্বে শশিনগর গ্রামের শরিফুল ইসলামের সাথে বগুড়ার মাটিডালি এলাকার সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। সোনিয়া তার বাবার বাড়িতেই ছিল। কিছুদিন আগে তার বাবা তাকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে যায়। স্বামী শরিফুল ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে ঢাকায় বসবাস করে। শনিবার সকালে শ্বশুর আমিরুল ইসলাম সোনিয়া থেকে কিছু টাকা চায়। শ্বশুর টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর সে রুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় প্রেরন করে। শনিবার সন্ধ্যায় মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই লালন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।