খাগড়াছড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

খাগড়াছড়ি জেলার মহাজন পাড়া ও পানখাইয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সংঘটিত এই হামলায় একাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর এবং নগদ অর্থ ও মালামাল চুরি করা হয়। এর মধ্যে কে এস টি সি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ভাঙচুর চালানো হয়, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী কল্যাণী চাকমা থানায় মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েলের নির্দেশনায় একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধার তত্ত্বাবধানে বিশেষ টিমটি শালবনসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ অক্টোবর রাতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: লুৎফর রহমান (৪৫), নূর মোহাম্মদ, ইসমাইল হোসেন, শাহাজাদায়ে ইমরান চৌধুরী (৩৪), এবং মোঃ কামরুল (৩৫)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে লুৎফর রহমান ও নূর মোহাম্মদ এপিবিএন মুসলিম পাড়ার এবং ইসমাইল হোসেন ও কামরুল শালবন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘১ অক্টোবর সহিংসতা চলাকালে জেলা শহরের কল্যাণপুর এলাকার কেএসটিসি নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে খাগড়াছড়ি সদরের শালবন ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খাগড়াছড়ির এই ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের কাছ থেকে সুরক্ষা দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতার সূচনা হয়।